মোঃ সোহেল আমান, রাজশাহী
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলির ক্ষেত্রে লটারি বা ভাগ্য প্রক্রিয়া আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। যারা দক্ষ, অভিজ্ঞ চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা, বিভিন্ন সময়ে সফল ও সততার সাথে মাঠে কাজ করেছেন, লটারি প্রক্রিয়া হবে তাদের প্রতি অবমূল্যায়ন। এর ফলে ভালো কাজের প্রতি তাদের আগ্রহ কমে যেতে পারে। তাদের মনোবল ভেঙ্গে যেতে পারে।
একটা বিলের সব জায়গায় যেমন একই সমান পানি থাকেনা, তেমনি দেশের সব জেলার আইনশৃঙ্খলাও সমান না। নির্বাচনের সময় কোন কোন জেলা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, কোনটা কম। সরকারকে এ চিন্তা মাথায় রাখতে হবে। কোথাও আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটলে তখন এর দায় নিবে কে? যারা মাঠপর্যায়ে লটারির মাধ্যমে কর্মকর্তা বদলি চায় তারা? নাকি সরকার? লটারির মাধ্যমে বদলি আর জুয়া খেলার মধ্যে কি কোন পার্থক্য আছে? বিশ্বের কোথাও কি লটারির মাধ্যমে রাষ্ট্রের কর্মকর্তা বদলির প্রক্রিয়া আছে? সবাই বলবে না। এসব উদ্ভট চিন্তা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রও হতে পারে।
যোগ্য হওয়া সত্বেও যারা ভাগ্য বদলের খেলায় হেরে যাবে, ভালো জায়গায় পোস্টিং পাবেনা, তাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিতে পারে।
মাঠে গুজব রয়েছে, লটারি নয়,লটারির নামে ব্যাক্তিবিশেষের পছন্দের কর্মকর্তাদেরকে পছন্দের জায়গায় বদলি করা হচ্ছে।
অবশেষে বলবো, লটারির নামে 'বদলি জুয়া খেলা' বন্ধ করা হোক। নতুবা নির্বাচনের সময়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়লে এর দায় নিতে হবে সরকারকে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.