ঢাকা ০৮:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পবায় ‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo ভালুকায় শিশুর গলায় দা ঠেকিয়ে ডাকাতি, টাকা-সোনা লুট Logo বাংলাদেশি সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ Logo দেশের বৃহত্তম নগরী চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ বার্ন হাসপাতাল নির্মাণে কালক্ষেপন মেনে নেয়া হবে না-ক্যাব  Logo ব্রাহ্মণপাড়ায় মাদক সেবনের অপরাধে ১ জনের কারাদণ্ড  Logo চীনের মহাকাশ স্টেশনের ভবিষ্যৎ প্রকল্প Logo বিশ্বের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি কখনও কমবে না : চীনা প্রতিনিধি ফু ছুং Logo চীনে প্রবেশ ও প্রস্থানের পরিমাণ ৪৩.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে Logo চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য নতুন রেকর্ড Logo চীন-গ্রেনাডা সম্পর্ক দুই দেশ ও জনগণের মৌলিক স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ: সি

মাদক সেবনে বাঁধা দেয়ায় সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম

সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)

মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় বরগুনার আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দৈনিক মানবকন্ঠ পত্রিকার আমতলী প্রতিনিধি এইচএম কাওসার মাদবরকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে উপজেলার পুর্ব কেওয়াবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে আমতলীর সাংবাদিকরা প্রতিবাদ সভা করেছেন।

জানাগেছে, আমতলী উপজেলার পুর্ব কেওয়াবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে কিশোর গ্যাং লিডার ইমরান বিশ্বাস ও রহমান হাওলাদারসহ ৬-৭ জন কিশোর গ্যাং দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করে আসছিল। বিদ্যালয় শিক্ষক ও স্থানীয়রা বারণ করলেও তারা তা মানছেন না। গত শনিবার বিকেলে ওই বিদ্যালয়ের একটি শ্রেনী কক্ষে কিশোর গ্যাং লিডার ইমরান বিশ্বাস, রহমান হাওলাদার ও তাদের সহযোগীরা মাদকসেবন করছিল। ওই সময় আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানবকন্ঠ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি এইচএম কাওসার মাদবর বাঁধা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয় মাদবসেবী কিশোর গ্যাং লিডার ইমরান বিশ্বাস, রহমান হাওলাদার ও তাদের সহযোগীরা।

সোমবার রাতে সাংবাদিক এইচএম কাওসার মাদবর মহিষকাটা বাজার থেকে বাড়ী ফিরছিল। পথিমধ্যে পুর্ব কেওয়াবুনিয়া স্কুলের সামনে পৌছা মাত্রই মাদকসেবী কিশোর গ্যাং লিডার ইমরান বিশ্বাস, রহমান হাওলাদার ও তাদের সহযোগীরা ধারালো অন্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে। এতে তার মাথায় গুরুতর জখম হয়। তার ডাক চিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে কিশোর গ্যাং লিডাররা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালে চিকিৎসক ডাঃ মনিরুজ্জামান খাঁন তার চিকিৎসা দেন। বর্তমানে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবীতে মঙ্গলবার দুপুরে আমতলীর সাংবাদিকরা প্রতিবাদ সভা করেছেন।

সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এ প্রতিবাদ সভা হয়। সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার স্টাফ রিপোটার মোঃ জসিম উদ্দিন সিকদার সভায় সভাপতিত্ব করেন। ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হোসাইন আলী কাজীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, আমতলী প্রেসক্লাব সভাপতি অ্যাড. শাহাবুদ্দিন পান্না, সিনিয়র সাংবাদিক খাঁন মতিয়ার রহমান, পরিতোষ কর্মকার, চ্যানেল আমতলীর ব্যবস্হাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি বিএমএসএস এর কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি একেএম খায়রুল বাশার বুলবুল,বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়ন সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন ফসল, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুহু-উল আলম নবীন, সাংবাদিক ইউনিয়ন সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ জয়নুল আবেদীন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম সাইদ খোকন, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম নাশির মাহমুদ, সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি সুমন রশিদ, বশির আহমেদ, রিপন মুন্সি, সাংবাদিক ফোরাম সভাপতি মাসুম বিল্লাহ , সাংবাদিক সাইদুর রহমান সজিব, মাহবুব বিশ্বাস টিটু, এইচএম রাসেল, মোঃ ফখরউদ্দিন তহসিন, রাশেমুল হক রিমন ও সাজ্জাদ শরীফ।

প্রত্যক্ষদর্শী সেরাজ খাঁন ও আলম মৃধা বলেন, ৬-৭ জন দলের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী সাংবাদিক কাওসার মাদবরকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে।

আহত সাংবাদিক এইচএম কাওসার মাদবর বলেন, গত শনিবার বিকেলে কিশোর গ্যাং লিডার ইমরান বিশ্বাস ও রহমান হাওলাদারসহ ৬-৭ জন মাদকসেবী কিশোর গ্যাং পুর্ব কেওয়াবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিতরে বসে মাদক সেবন করছিল। আমি তাদের স্কুলে বসে মাদক সেবনে বাঁধা দেই। এতে তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার রাতে আমি মহিষকাটা বাজার থেকে ঔষধ নিয়ে বাড়ী যাচ্ছিলাম, পথিমধ্যে ইমরান বিশ্বাস ও রহমান হাওলাদারের নেতৃত্বে ৬-৭ জন দলের কিশোর গ্যাং বাহিনী পরিকল্পিতভাবে আমাকে পিছন দিক থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমি এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের শাস্তি দাবী করছি।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মনিরুজ্জামান খান বলেন, সাংবাদিক কাওসার মাদবরের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহৃ রয়েছে। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পবায় ‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

SBN

SBN

মাদক সেবনে বাঁধা দেয়ায় সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম

আপডেট সময় ০৯:০৮:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)

মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় বরগুনার আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দৈনিক মানবকন্ঠ পত্রিকার আমতলী প্রতিনিধি এইচএম কাওসার মাদবরকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে উপজেলার পুর্ব কেওয়াবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে আমতলীর সাংবাদিকরা প্রতিবাদ সভা করেছেন।

জানাগেছে, আমতলী উপজেলার পুর্ব কেওয়াবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে কিশোর গ্যাং লিডার ইমরান বিশ্বাস ও রহমান হাওলাদারসহ ৬-৭ জন কিশোর গ্যাং দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করে আসছিল। বিদ্যালয় শিক্ষক ও স্থানীয়রা বারণ করলেও তারা তা মানছেন না। গত শনিবার বিকেলে ওই বিদ্যালয়ের একটি শ্রেনী কক্ষে কিশোর গ্যাং লিডার ইমরান বিশ্বাস, রহমান হাওলাদার ও তাদের সহযোগীরা মাদকসেবন করছিল। ওই সময় আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানবকন্ঠ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি এইচএম কাওসার মাদবর বাঁধা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয় মাদবসেবী কিশোর গ্যাং লিডার ইমরান বিশ্বাস, রহমান হাওলাদার ও তাদের সহযোগীরা।

সোমবার রাতে সাংবাদিক এইচএম কাওসার মাদবর মহিষকাটা বাজার থেকে বাড়ী ফিরছিল। পথিমধ্যে পুর্ব কেওয়াবুনিয়া স্কুলের সামনে পৌছা মাত্রই মাদকসেবী কিশোর গ্যাং লিডার ইমরান বিশ্বাস, রহমান হাওলাদার ও তাদের সহযোগীরা ধারালো অন্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে। এতে তার মাথায় গুরুতর জখম হয়। তার ডাক চিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে কিশোর গ্যাং লিডাররা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালে চিকিৎসক ডাঃ মনিরুজ্জামান খাঁন তার চিকিৎসা দেন। বর্তমানে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবীতে মঙ্গলবার দুপুরে আমতলীর সাংবাদিকরা প্রতিবাদ সভা করেছেন।

সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এ প্রতিবাদ সভা হয়। সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার স্টাফ রিপোটার মোঃ জসিম উদ্দিন সিকদার সভায় সভাপতিত্ব করেন। ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হোসাইন আলী কাজীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, আমতলী প্রেসক্লাব সভাপতি অ্যাড. শাহাবুদ্দিন পান্না, সিনিয়র সাংবাদিক খাঁন মতিয়ার রহমান, পরিতোষ কর্মকার, চ্যানেল আমতলীর ব্যবস্হাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি বিএমএসএস এর কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি একেএম খায়রুল বাশার বুলবুল,বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়ন সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন ফসল, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুহু-উল আলম নবীন, সাংবাদিক ইউনিয়ন সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ জয়নুল আবেদীন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম সাইদ খোকন, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম নাশির মাহমুদ, সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি সুমন রশিদ, বশির আহমেদ, রিপন মুন্সি, সাংবাদিক ফোরাম সভাপতি মাসুম বিল্লাহ , সাংবাদিক সাইদুর রহমান সজিব, মাহবুব বিশ্বাস টিটু, এইচএম রাসেল, মোঃ ফখরউদ্দিন তহসিন, রাশেমুল হক রিমন ও সাজ্জাদ শরীফ।

প্রত্যক্ষদর্শী সেরাজ খাঁন ও আলম মৃধা বলেন, ৬-৭ জন দলের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী সাংবাদিক কাওসার মাদবরকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে।

আহত সাংবাদিক এইচএম কাওসার মাদবর বলেন, গত শনিবার বিকেলে কিশোর গ্যাং লিডার ইমরান বিশ্বাস ও রহমান হাওলাদারসহ ৬-৭ জন মাদকসেবী কিশোর গ্যাং পুর্ব কেওয়াবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিতরে বসে মাদক সেবন করছিল। আমি তাদের স্কুলে বসে মাদক সেবনে বাঁধা দেই। এতে তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার রাতে আমি মহিষকাটা বাজার থেকে ঔষধ নিয়ে বাড়ী যাচ্ছিলাম, পথিমধ্যে ইমরান বিশ্বাস ও রহমান হাওলাদারের নেতৃত্বে ৬-৭ জন দলের কিশোর গ্যাং বাহিনী পরিকল্পিতভাবে আমাকে পিছন দিক থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমি এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের শাস্তি দাবী করছি।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মনিরুজ্জামান খান বলেন, সাংবাদিক কাওসার মাদবরের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহৃ রয়েছে। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।