
নাহিদ জামান, খুলনা
খুলনায় রূপসার নেহালপুর ও দেবীপুর এলাকায় আঠারোবেঁকী নদীর পাশে গড়ে উঠেছে আশ্রয়ণপ্রকল্প। আশ্রয়ণ প্রকল্প ২ এর আওতায় প্রথম ধাপে ২৩টি ও দ্বিতীয় ধাপে ৩৯ টি মোট ৬২ টি ঘর রয়েছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রয়েছে ২ টি সুবর্ণ নাগরিক (প্রতিবন্ধী) পরিবার। এই প্রকল্পের বসবাসরত পরিবারগুলি নদী ভাঙ্গনের ফলে চরম আতংকে দিন পার করছে।
গরিব অসহায়, সহায় সম্বলহীন মানুষগুলি এখানে বসবাস করার পাশাপাশি নদীর পাশ দিয়ে গড়ে তুলছেন কৃষি খামার। সেখানে নানা সবজি চাষের মাধ্যমে নিজেদের চাহিদা মেটানোর পরেও বাজারে বিক্রয় করে অর্জন করেছে মুনাফা। ঘর পেয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করলেও তাদের আতংক শুধু নদী ভাঙ্গন নিয়ে। যত দিন যাচ্ছে ততই আতঙ্ক বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকা মানুষ গুলির কৃষি জমি। এই কৃষি জমি শেষ হলেই চলাচলের রাস্তা। তার পরেই নদী গর্ভে বিলীন হবে সম্বলহীন মানুষের জমিসহ ঘর।
আশ্রয় প্রকল্পে থাকা সুবর্ণ নাগরিকের পরিবারসহ সাধারণ মানুষের কাছে তাঁদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, আমাদের বসবাসের জন্য নির্দিষ্ট কোন স্থান ছিলনা। আমাদের স্থায়ীভাবে বাসস্থানের ব্যাবস্থা হলেও নদী ভাঙ্গনের ফলে আমরা হারাতে বসেছি আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমি সহ ঘর। ঘর তৈরির সময় আঠারোবেঁকী নদী ভাঙ্গনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলে অস্থায়ী বাঁধ তৈরি করেন। যা আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকা ৬২ ঘরের তিন ভাগের একভাগ।
বাকি দুই ভাগ ভাঙ্গন রোধে রূপসার ৩নং নৈহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে গাবগাছ ও টিন দিয়ে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। নদী ভাঙ্গনের ফলে অনেক আগেই বিলীন হয়েছে সে বাঁধ। এখন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বালুর বস্তুা দিয়ে যে বাঁধ দেওয়া হয়েছিল তা অধিকাংশ জায়গা নদী গর্বে বিলীন হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই কৃষি জমি বড় বড় আকারে ভাঙ্গনের ফলে বিলীন হতে শুরু করেছে। প্রতিদিন এগিয়ে আসছে আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকা মানুষের ঘরের দিকে।
ফলে যে কোন সময় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো বিলীন হতে এই আতংকে থাকতে হয়। কখন না জানি জমি সহ ঘর আমাদের শেষ আশ্রয়স্থানটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। আমরা উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে দাবী জানাই তারা যেন নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ সহ উপযুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা করে। আমরা এখানে আমাদের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে চাই।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 


























