এম.ডি.এন.মাইকেল
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক এর অফিস সহায়ক দেলোয়ার জাল জালিয়াতি ও অনিয়ম-দূর্নীতির মাধ্যমে বনে গেছেন কয়েক শত কোটি টাকার মালিক।এ যেন রূপকথার আলাদিনের চেরাগ হাতে পাওয়ার মত গল্প কেও হার মানায়।অফিস সহায়ক দেলোয়ার জাল জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েক শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগের সূত্র ধরে রাজউক অফিস সহায়ক দেলোয়ারের সম্পদের খুঁজে অনুসন্ধানে গিয়ে পাওয়া তথ্য উপাত্তের চুম্বক অংশ রাজউক চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পাঠকদের মাঝে তুলে ধরা হলো।রাজউক অফিস সহায়ক দেলোয়ার জাল জালিয়াতি অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থে রাজধানীর ঢাকার যাত্রাবাড়ী সহ বিভিন্ন স্থানে রয়েছে বিলাসবহুল তিনটি ফ্ল্যাট, যার এক একটি ফ্ল্যাটের মূল্য আনুমানিক কয়েক কোটি টাকা।
গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায় আনুমানিক ৪০ একর জমির উপরে মাছের ঘের ও একশো একর জমি, কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ডুপ্লেক্স বাড়ি।ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য রয়েছে বিলাসবহুল এলিয়েন গাড়ি।বর্তমানে বসবাস করছেন ৩২০০, স্কয়ার ফিটের কয়েক কোটি টাকা মূল্যের নিজস্ব আলিশান ফ্লাটে।
দুই মেয়ে কানাডা ও ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় অধ্যায়নরত।এছাড়াও নামে বেনামে রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকে কোটি কোটি টাকার এফডিআর ও সঞ্চয় পত্র। সামান্য বেতনে রাজউক অফিস সহায়ক পদে চাকরি করা দেলোয়ারের অঢেল সম্পদের মালিক হওয়ার রহস্য জানার জন্য তার কর্মস্থল রাজউক প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে সহকর্মীদের কাছে জানতে চাইলে প্রথমেই তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে বলেন অফিস সহায়ক দেলোয়ার আপাদমস্তক একজন জাল-জালিয়াতির মাস্টারমাইন্ড ও অনিয়ম দুর্নীতির বর পুত্র হিসেবে রাজউক এর কর্মকর্তা কর্মচারী থেকে শুরু করে সবাই জানে, এক কথায় ওপেন সিক্রেট।রাজউকের প্লট বিক্রির ছাড় পত্র এর দালালী, বাড়ি নির্মাণের প্ল্যান পাস, প্লট জাল জালিয়াতির মাধ্যমে মালিকানা পরিবর্তন করার কাজে দেলোয়ার সাহেব সিদ্ধহস্ত আর এই সকল জাল জালিয়াতি এবং অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অফিস সহায়ক দেলোয়ার বর্তমানে কয়েক শত কোটি টাকার মালিক।
রাজউক এর অন্য এক সুত্র থেকে জানা যায় অফিস সহায়ক দেলোয়ার দেলোয়ার রাজউক পূর্বাচল উত্তরা প্রকল্প ঝিলমিল প্রকল্প সহ বিভিন্ন প্রকল্পের প্লট জাল জালিয়াতির মাধ্যমে মালিকানা বদল করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা এবং রাজউক এর প্লট কেলেঙ্কারির হোতা বহুল আলোচিত গোল্ডেন মনিরের বিশ্বস্ত সহযোগী ছিলেন।সূত্র আরো জানায় মহা দুর্নীতিবাজ জাল জালিয়াতির মাস্টারমাইন্ড খ্যাত অফিস সহায়ক দেলোয়ার গংদের কারণে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক দুর্নীতির মহাসমুদ্রে পরিণত হয়েছিলো কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সিদ্দিকুর রহমান যোগদান করার পর থেকে রাজউক এর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স নীতি গ্রহণ করে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে বর্তমানে রাজউক এ কর্মরত দুর্নীতিবাজদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায় অফিস সহায়ক দেলোয়ার তার অফিসে প্রকাশ্যে বলে বেড়ান আমার জাল জালিয়াতি অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকা আমি একা খাই না উপর মহলকে ম্যানেজ করে আজ আমি কয়েক শত কোটি টাকার মালিক। তাই প্রশ্ন জাগে একজন স্বঘোষিত জাল জালিয়াতির মাস্টারমাইন্ড খ্যাত মহা দুর্নীতিবাজ অফিস সহায়ক দেলোয়ারের বিরুদ্ধে রাজউক কর্তৃপক্ষ প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণ রহস্যজনক। অফিস সহায়ক দেলোয়ার এর জাল জালিয়াতি ও অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল(অব:) সিদ্দিকুর রহমানকে অবগত করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে আশ্বস্ত করে বলেন অফিস সহায়ক দেলোয়ারের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরবর্তীতে জাল জালিয়াতির মাস্টারমাইন্ড খ্যাত মহা দুর্নীতিবাজ অফিস সহায়ক দেলোয়ার (কর্মস্থল উত্তরা প্রকল্প, রাজউক প্রধান কার্যালয়) এর মুঠোফোনে ফোন দিয়ে কোন সাড়া পাওয়া না যাওয়ায় পরবর্তী যে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে খুঁদে বার্তা পাঠিয়ে জাল জালিয়াতি ও অনিয়ম দুর্নীতি সম্পদের বিষয় জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন এই বিষয়ে আমার কিছু বলার নাই!
রাজউক অফিস সহায়ক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী দেলোয়ারের জাল জালিয়াতি অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে মতামত জানতে অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের মুখোমুখি হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন এহেন দুর্নীতিবাজরা দেশ ও জাতির শত্রু এবং বিগত পনের বছরে বিগত সরকারের সময়ে তৎকালীন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সারা দেশে অফিস সহায়ক দেলোয়ার গংদের দুর্নীতির উৎসব চলেছিল। তিনি আরও বলেন একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী জাল জালিয়াতি অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে তার বিরুদ্ধে তৎকালীন সরকার এবং কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেই তারা দুর্নীতিতে বেপরোয়া হয়েছে।
কিন্তু এখন সময় এসেছে যৌথ বাহিনীর মাধ্যমে তদন্ত করে অফিস সহায়ক দেলোয়ারের সকল সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগরে জমা করে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার।
অফিস সহায়ক দেলোয়ার এর অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের অনুসন্ধান চলমান,,,,,,