
বাংলাদেশে সরকার উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্য-পিয়েরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমাদের আদৌ কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে যদি কোনো প্রতিবেদনে বলা হয় বা গুজব ছড়ানো হয় তবে তা নিছক মিথ্যা।’
হোয়াইট হাউস সোমবার আরও বলেছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি- বাংলাদেশি জনগণেরই বাংলাদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা উচিত এবং আমাদের অবস্থান ঠিক এটাই।’
দ্য প্রিন্ট হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছে কারণ তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ চায়।
তবে পরবর্তী সময়ে হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, তিনি (হাসিনা) কখনোই এ ধরনের কোনো বক্তব্য দেননি।
ছাত্র-জনতার তুমুল বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। এরপর সামরিক বিমানে করে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।
এর আগে একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ক্ষমতা হারানোর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন। সেন্ট মার্টিন দ্বীপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে না দেয়ায় তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে।