ঢাকা ০৩:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেষ হলো প্রথম জাতীয় গণিতকন্যা উৎসব: এবার অপেক্ষা বিশ্বমঞ্চের

মুনতাসীর মামুন

নানা আয়োজনে শেষ হলো মেয়েদের জন্য দেশের প্রথম জাতীয় গণিতকন্যা উৎসব-২০২৩, যেখানে দেশসেরা ত্রিশ প্রতিযোগীর হাতে তুলে দেয়া হয়েছে পুরস্কার-পদক।

৩ নভেম্বর শুক্রবার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হওয়া এই উৎসবের আয়োজন করে গণিতকন্যা-বাংলাদেশ গার্লস’ ম্যাথমেটিক্স ফাউন্ডেশন। দেশের নানা প্রান্তের পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পড়ুয়া ৪০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে গত সেপ্টেম্বরে শুরু হয় এই উৎসব।

জাতীয় এই আয়োজনে নির্বাচিত এই গণিতকন্যারা এখন অংশ নেবে পরপর দুটি ক্যাম্পে, যার মাধ্যমে নির্বাচিত হবে সেরাদের সেরা চার গণিতকন্যা। যারা বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে ২০২৪ সালে যাবে জর্জিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ইউরোপিয়ান গার্লস’ ম্যাথমেটিক্স অলিম্পিয়াডে।

একবিংশ শতাব্দীতে এসেও যখন স্টেম শিক্ষায় (STEM) তথা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত চর্চায় লিঙ্গবৈসম্য একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ, তখন গণিতে বাংলাদেশের মেয়েদের আগ্রহী করতে ২০২৩ সাল থেকে এই আয়োজন শুরু হলো।

সমাপনী উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক ইয়াসমিন হক, ড. সৌমিত্র চক্রবর্তীর মতন প্রথিতযশা বিজ্ঞানী ও শিক্ষকদের উপস্থিতি এবং তাদের অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য বিজয়ীদের আনন্দ আরো বাড়িয়ে দেয়। গণিতের সম্ভাবনাময় পথে প্রচেষ্টা ও আত্মবিশ্বাসের সাথে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে বাড়ি ফেরে তাঁরা।

অনুষ্ঠানে রাশেদা কে চৌধুরী বিশেষভাবে অভিভাবকদের আন্তরিকভাবে অভিবাদন জানিয়ে বলেন, আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা ছাড়া আপনাদের মেয়েরা কখনোই তাদের জীবনে এতদূর আসতে পারতো না।

অনুষ্ঠানে গণিতকন্যাদের কোচ মাহবুব মজুমদার বলেন, গণিতকন্যারা EGMO তে বাংলাদেশের হয়ে অংশগ্রহণ করে বিশ্বে তাদের মেধার প্রমাণ রেখেছে। তিনি গণিতকন্যাদেরকে সবধরনের বাধা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেন।

অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল গণিতকন্যাদের উদ্দেশ্য করে বলেন “তুমি তোমার বেস্ট টা দিবা, তোমার ভিতরে যা আছে তার পুরাটুকু দিবা, তাতে মেডেল পেয়েছ কি পাওনাই কিচ্ছু আসে যায় না। বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ, যারা এসবের প্রতি আগ্রহী তারা পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো ছেলেমেয়েদের একজন।”
আসন্ন জর্জিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য European Girls’ Mathematical Olympiad (EGMO)-তে অংশগ্রহণকারী গণিতকন্যাদের উদ্দেশ্যে তিনি একটি বই উৎসর্গ করতে চেয়েছেন।

বাংলাদেশের গণিতকন্যারা দেশে ও দেশের বাইরে গণিত ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখবে আশা প্রকাশ করেন আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ঈপ্সিতা বহ্নি উপমা। তিনি জাহিদুল হাসান জাদিদ, তামান্না ইসলাম ঊর্মি, সিরাজুস সালেকিনকেও তাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। গণিতকন্যা—বাংলাদেশ গার্লস’ ম্যাথমেটিক্স ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. সাদিয়া হামিদ কাজী সকলকে জানান যে আব্দুল মোনেম লিমিটেড গণিতকন্যা-BGMF কে লিড স্পন্সর হিসেবে ২০২৩-২৪ সালের জন্য ২০ লক্ষ টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি জ্ঞাপন করেছে। এছাড়াও Rose Leemon Credit Reports & Collections Ltd. স্পন্সর হিসেবে থাকার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে।

আপলোডকারীর তথ্য

শেষ হলো প্রথম জাতীয় গণিতকন্যা উৎসব: এবার অপেক্ষা বিশ্বমঞ্চের

আপডেট সময় ১২:০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

মুনতাসীর মামুন

নানা আয়োজনে শেষ হলো মেয়েদের জন্য দেশের প্রথম জাতীয় গণিতকন্যা উৎসব-২০২৩, যেখানে দেশসেরা ত্রিশ প্রতিযোগীর হাতে তুলে দেয়া হয়েছে পুরস্কার-পদক।

৩ নভেম্বর শুক্রবার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হওয়া এই উৎসবের আয়োজন করে গণিতকন্যা-বাংলাদেশ গার্লস’ ম্যাথমেটিক্স ফাউন্ডেশন। দেশের নানা প্রান্তের পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পড়ুয়া ৪০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে গত সেপ্টেম্বরে শুরু হয় এই উৎসব।

জাতীয় এই আয়োজনে নির্বাচিত এই গণিতকন্যারা এখন অংশ নেবে পরপর দুটি ক্যাম্পে, যার মাধ্যমে নির্বাচিত হবে সেরাদের সেরা চার গণিতকন্যা। যারা বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে ২০২৪ সালে যাবে জর্জিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ইউরোপিয়ান গার্লস’ ম্যাথমেটিক্স অলিম্পিয়াডে।

একবিংশ শতাব্দীতে এসেও যখন স্টেম শিক্ষায় (STEM) তথা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত চর্চায় লিঙ্গবৈসম্য একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ, তখন গণিতে বাংলাদেশের মেয়েদের আগ্রহী করতে ২০২৩ সাল থেকে এই আয়োজন শুরু হলো।

সমাপনী উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক ইয়াসমিন হক, ড. সৌমিত্র চক্রবর্তীর মতন প্রথিতযশা বিজ্ঞানী ও শিক্ষকদের উপস্থিতি এবং তাদের অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য বিজয়ীদের আনন্দ আরো বাড়িয়ে দেয়। গণিতের সম্ভাবনাময় পথে প্রচেষ্টা ও আত্মবিশ্বাসের সাথে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে বাড়ি ফেরে তাঁরা।

অনুষ্ঠানে রাশেদা কে চৌধুরী বিশেষভাবে অভিভাবকদের আন্তরিকভাবে অভিবাদন জানিয়ে বলেন, আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা ছাড়া আপনাদের মেয়েরা কখনোই তাদের জীবনে এতদূর আসতে পারতো না।

অনুষ্ঠানে গণিতকন্যাদের কোচ মাহবুব মজুমদার বলেন, গণিতকন্যারা EGMO তে বাংলাদেশের হয়ে অংশগ্রহণ করে বিশ্বে তাদের মেধার প্রমাণ রেখেছে। তিনি গণিতকন্যাদেরকে সবধরনের বাধা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেন।

অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল গণিতকন্যাদের উদ্দেশ্য করে বলেন “তুমি তোমার বেস্ট টা দিবা, তোমার ভিতরে যা আছে তার পুরাটুকু দিবা, তাতে মেডেল পেয়েছ কি পাওনাই কিচ্ছু আসে যায় না। বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ, যারা এসবের প্রতি আগ্রহী তারা পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো ছেলেমেয়েদের একজন।”
আসন্ন জর্জিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য European Girls’ Mathematical Olympiad (EGMO)-তে অংশগ্রহণকারী গণিতকন্যাদের উদ্দেশ্যে তিনি একটি বই উৎসর্গ করতে চেয়েছেন।

বাংলাদেশের গণিতকন্যারা দেশে ও দেশের বাইরে গণিত ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখবে আশা প্রকাশ করেন আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ঈপ্সিতা বহ্নি উপমা। তিনি জাহিদুল হাসান জাদিদ, তামান্না ইসলাম ঊর্মি, সিরাজুস সালেকিনকেও তাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। গণিতকন্যা—বাংলাদেশ গার্লস’ ম্যাথমেটিক্স ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. সাদিয়া হামিদ কাজী সকলকে জানান যে আব্দুল মোনেম লিমিটেড গণিতকন্যা-BGMF কে লিড স্পন্সর হিসেবে ২০২৩-২৪ সালের জন্য ২০ লক্ষ টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি জ্ঞাপন করেছে। এছাড়াও Rose Leemon Credit Reports & Collections Ltd. স্পন্সর হিসেবে থাকার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে।