ঢাকা ১২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo গলাচিপায় মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষনের পর হত্যার অভিযোগ Logo শের আলম মিয়া সরাইল উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত Logo কবির জীবনের প্রথম পুরুষ “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর” Logo কটিয়াদীতে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে জখম Logo রূপাসায় সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo সরাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৫ জনের কারাদণ্ড Logo এক নারীর সাথে ভাইরাল তালতলীর সেই চার নেতার বিরুদ্ধে গণ ধর্ষণ মামলা Logo মিঠামইনের চাঞ্চল্যকর ফায়েম হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার Logo সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে রাজধানীতে মানববন্ধন Logo চীনে নিযুক্ত বিদেশি দূতদের সিআরআরসি পরিদর্শন

সুনামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালের ঔষধ পাচারে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের দুই স্টাফ নার্স কে চোরাইকৃত এক লাখ সত্তর হাজার টাকা মূল্যের ঔষধ পাচারকালে হাতেনাতে আটক করেছে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ। গত ২৮ ডিসেম্বর বুধবার দিবাগত রাতে শহরের হাছন নগর ময়নারপয়েন্ট এলাকা থেকে এই দুইজনকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা সহ রোগীদের খাবার ব্যাবস্থা সহ বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে প্রতিনিয়ত কথা বলে আসছে সাধারণ মানুষ, এরিমধ্যে সরকারি ঔষধ স্যালাইন সহ পুলিশের হাতে আটক হাসপাতালে কর্মরত ২ স্টাফ (নার্স) ব্রাদার। এ নিয়ে জেলা জুড়ে চলছে নানা গুঞ্জন। অনেকেই বলেন হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা থাকতে কি ভাবে ঔষধ নিয়ে এভাবে বেরিয়ে এলো। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক স¤পাদক সিরাজুর রহমান বলেন হাসপাতালের ঔষধ সাধারণ মানুষের ঔষধ। এই ঔষধ পাচার নতুন কিছু নয়। এভাবে ঔষধ নিয়ে হাসপাতালের দুইজন কে পুলিশ ধরেছে এর আড়ালে থেকে আরোও যে বা যারা জড়িত রয়েছে এদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে। সুনামগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ডেপুটি ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন এটি জঘন্য ঘটনা সরকারি ঔষধ হাসপাতাল থেকে ব্রাদার বাহিরে নিয়ে বিক্রি করবে এ চেয়ে খারাপ কাজ কি হতে পারে এর সাথে প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা জড়িত আছে এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। সরকারি ঔষধ, স্যালাইন,ইনজেকশন, ক্যানোলা সহ স্টাফ নার্স দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার মজবিপুর গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান। বরিশাল জেলার কাওনিয়া থানার উত্তর লামছরি গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম, এরা দু’জনেই ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স (ব্রাদার) হিসেবে কর্মরত ছিল। এ ব্যাপারে জেলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ আনিছুর রহমান বলেন,ইতিমধ্যে আমরা ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই জিয়াউর করিম জানান,২৮ ডিসেম্বর বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার সময় বিভিন্ন ঔষধ, স্যালাইন,কেনোলা পলিবস্তায় করে সি এন জি গাড়িতে করে হাছননগর পানি শোধনাগারের সামনে দেখতে পেয়ে সন্দেহ হলে মোস্তাফিজকে আটক করা হয়। তার তথ্যের ভিত্তিতে অপর রফিকুল ইসলাম নামে আরো এক জনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের হেফাজত থেকে আনুমানিক একলক্ষ সত্তর হাজার টাকা মুল্যের সরকারি বিভিন্ন ঔষধ, স্যালাইন, ইনজেকসন, কেনোলা,উদ্ধার করা হয়। জেলা সদর হাসপাতালের নিয়মিত ঔষধ চুরির চাঞ্চল্যকর এ খবরটি সারা শহরে ছড়িয়ে পড়লে ঔষধ চুরির মামলা ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়ে উঠে হাসপাতালের স্টোরকিপার সোলেমান আহমদ ও হিসাব রক্ষক ছমিরুলসহ একটি চক্র। এ ব্যাপারে জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রফিকুল ইসলাম (আরএমও) সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,পুলিশের হাতে ঔষধসহ আটককৃতরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স। পুলিশ আমাকে বলেছে,তাদের কে সন্দেহজনক কারণে গ্রেপ্তার করেছে। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এক লাখ সত্তর হাজার টাকা মূল্যের ঔষধ পাচারকালে হাতেনাতে আটক করে মোস্তাফিজুর রহমান ও রফিকুল ইসলাম কে ফৌজধারী কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহ¯পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিজ্ঞ কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি যেহেতু দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের আওতায় এবং গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি সরকারী সেবা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী সেহেতু পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর সিলেট সমন্বিত কার্যালয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনাক্রমে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

গলাচিপায় মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষনের পর হত্যার অভিযোগ

সুনামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালের ঔষধ পাচারে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

আপডেট সময় ১১:২১:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের দুই স্টাফ নার্স কে চোরাইকৃত এক লাখ সত্তর হাজার টাকা মূল্যের ঔষধ পাচারকালে হাতেনাতে আটক করেছে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ। গত ২৮ ডিসেম্বর বুধবার দিবাগত রাতে শহরের হাছন নগর ময়নারপয়েন্ট এলাকা থেকে এই দুইজনকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা সহ রোগীদের খাবার ব্যাবস্থা সহ বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে প্রতিনিয়ত কথা বলে আসছে সাধারণ মানুষ, এরিমধ্যে সরকারি ঔষধ স্যালাইন সহ পুলিশের হাতে আটক হাসপাতালে কর্মরত ২ স্টাফ (নার্স) ব্রাদার। এ নিয়ে জেলা জুড়ে চলছে নানা গুঞ্জন। অনেকেই বলেন হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা থাকতে কি ভাবে ঔষধ নিয়ে এভাবে বেরিয়ে এলো। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক স¤পাদক সিরাজুর রহমান বলেন হাসপাতালের ঔষধ সাধারণ মানুষের ঔষধ। এই ঔষধ পাচার নতুন কিছু নয়। এভাবে ঔষধ নিয়ে হাসপাতালের দুইজন কে পুলিশ ধরেছে এর আড়ালে থেকে আরোও যে বা যারা জড়িত রয়েছে এদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে। সুনামগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ডেপুটি ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন এটি জঘন্য ঘটনা সরকারি ঔষধ হাসপাতাল থেকে ব্রাদার বাহিরে নিয়ে বিক্রি করবে এ চেয়ে খারাপ কাজ কি হতে পারে এর সাথে প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা জড়িত আছে এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। সরকারি ঔষধ, স্যালাইন,ইনজেকশন, ক্যানোলা সহ স্টাফ নার্স দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার মজবিপুর গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান। বরিশাল জেলার কাওনিয়া থানার উত্তর লামছরি গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম, এরা দু’জনেই ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স (ব্রাদার) হিসেবে কর্মরত ছিল। এ ব্যাপারে জেলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ আনিছুর রহমান বলেন,ইতিমধ্যে আমরা ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই জিয়াউর করিম জানান,২৮ ডিসেম্বর বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার সময় বিভিন্ন ঔষধ, স্যালাইন,কেনোলা পলিবস্তায় করে সি এন জি গাড়িতে করে হাছননগর পানি শোধনাগারের সামনে দেখতে পেয়ে সন্দেহ হলে মোস্তাফিজকে আটক করা হয়। তার তথ্যের ভিত্তিতে অপর রফিকুল ইসলাম নামে আরো এক জনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের হেফাজত থেকে আনুমানিক একলক্ষ সত্তর হাজার টাকা মুল্যের সরকারি বিভিন্ন ঔষধ, স্যালাইন, ইনজেকসন, কেনোলা,উদ্ধার করা হয়। জেলা সদর হাসপাতালের নিয়মিত ঔষধ চুরির চাঞ্চল্যকর এ খবরটি সারা শহরে ছড়িয়ে পড়লে ঔষধ চুরির মামলা ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়ে উঠে হাসপাতালের স্টোরকিপার সোলেমান আহমদ ও হিসাব রক্ষক ছমিরুলসহ একটি চক্র। এ ব্যাপারে জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রফিকুল ইসলাম (আরএমও) সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,পুলিশের হাতে ঔষধসহ আটককৃতরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স। পুলিশ আমাকে বলেছে,তাদের কে সন্দেহজনক কারণে গ্রেপ্তার করেছে। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এক লাখ সত্তর হাজার টাকা মূল্যের ঔষধ পাচারকালে হাতেনাতে আটক করে মোস্তাফিজুর রহমান ও রফিকুল ইসলাম কে ফৌজধারী কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহ¯পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিজ্ঞ কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি যেহেতু দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের আওতায় এবং গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি সরকারী সেবা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী সেহেতু পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর সিলেট সমন্বিত কার্যালয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনাক্রমে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।