ঢাকা ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চীন-সার্বিয়া অভিন্ন কল্যাণের সমাজ প্রতিষ্ঠার ‘যৌথ বিবৃতি’ স্বাক্ষর Logo “দূর থেকে বন্ধু আসছে” থিম সম্বলিত স্মারক ডাকটিকিটও প্রকাশ Logo হাঙ্গেরির গণমাধ্যমে স্বাক্ষরযুক্ত নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন সি চিন পিং Logo সার্বিয়ার জাতীয় জাদুঘরে রয়েছে সূক্ষ্ম ক্লাসিক চিত্রকর্ম:চীনা ফার্স্ট লেডি Logo দেবিদ্বারে বড় ভাইয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে গেলেন প্রবাসী ব্যবসায়ী সাঈদ Logo স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার জমিতে সাইনবোর্ড সাটালেন ইউপি চেয়ারম্যান Logo বালি ঘাটের রাক্ষসী Logo আমতলী উপজেলা নির্বাচনে ১৩ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল Logo স্বপ্ন প্রকল্প ২ এর আওতায় রাস্তা সংস্কারের কাজের উদ্বোধন Logo নাচোলে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু

কুমিল্লায় নাভানা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মায়ের মৃত্যু

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলা নাভানা হাসপাতালের আবারো ভুল চিকিৎসার কারণে ঢাকাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মায়ের মৃত্যু ও নবজাতক শিশু আশংঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।
নিহত রোগীর নাম সীমা আক্তার। সে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার হরিমঙ্গল গ্রামের মো. শাহিন মিয়ার স্ত্রী।
রোগীর স্বজনদের মাধ্যমে জানা যায়, গত ১৫ অক্টোবর রোববার দুপুরে বুড়িচং পাচোড়া এলাকার গ্রাম্য ডাক্তার সোলেমান তাদের কে কুমিল্লা নাভানা হাসপাতালে নিয়ে আসে। আসার সময় এবং পরবর্তীতে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ্য ছিলো। সে নিজে হেটে ওটিতে যায়। ওটিতে অপারেশন করায় গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. উম্মে হাবিবা। তার ভুল চিকিৎসার কারণে রোগীর অতিরিক্ত ব্ল্যাডিং হয়। পরে রোগীকে নাভানা হাসপাতাল থেকে মুনে রেফার করে।
তারা আরো জানায় মুনে নেওয়ার রোগীর অবস্থা আশংকাজনক দেখে রিস্ক নিয়ে তাকে আবার ওটিতে পাঠায়। সেখানে ডা. লিরা অপারেশন করলে রোগীর ব্ল্যাডিং ৯০% বন্ধ হয়। কিন্তু এরি মধ্যে রোগী প্রায় রক্তশূণ্য হয়ে যায়। পরে রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে তাকে ঢাকা রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সীমা মৃত্যুবরণ করে। এবং নবজাতক শিশুকে ঢাকাতে এনআইসিইউতে রাখা হয়েছে।
স্বজনরা বলেন, আমরা কুমিল্লাতে এসে নাভানা হাসপাতাল ও ডাক্তারদের বিরুদ্ধে সিভিল সার্জন বরাবর অভিযোগ করবো এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো।
গতকাল সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি বিভাগে নেই কোন ডাক্তার। ডা. উম্মে হাবিবা প্রতিদিন ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে চেম্বারে আসেন। কিন্তু গতকাল বিকাল ৩টায়ও সে চেম্বারে আসেনি। অনেক বেডে দেখা যায় নোংড়া ব্যবস্থাপনা। হাসপাতালের লাইসেন্স রেনু করা হয়নি প্রায় ১ বছর। এসময় সেবার মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেন অনেক রোগী।
এ বিষয়ে জানতে গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. উম্মে হাবিবাকে পরিচালক মো.আবদুল আউয়াল সরকারের সামনে মুঠো ফোনে ফোন দেই। তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেয় এবং সাথে সাথে মোবাইল বন্ধ করে দেয়।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের এনেস্থিসিয়া বিশেষজ্ঞ ডা. মুহিদ বলেন, আমি এনেস্থিসিয়া বিশেষজ্ঞ আমার কাজ রোগী অজ্ঞান করা। আমি যতটুকু জানি রোগীর স্বজনরা আল্ট্রার রিপোর্ট হাইড(গোপন) করেছে। তাদেরকে রক্ত রিজার্ভ রাখার কথা বলার পরেও এক ব্যাগ রক্ত রাখতে পারেনি। সিজার করার পরে যখন ব্লাডিং হচ্ছিল তখন রোগীকে মুন হাসাপাতালে রেফার করা হয়।
হাসপাতালের পরিচালক মো. আবদুল আউয়াল সরকার বলেন, আমাদের কাজ রোগীর সেবা দেওয়া, রোগীকে মেরে ফেলা নয়। এখানে অপারেশন করেছে ডাক্তার। ডাক্তার যদি কোন ভুল করে থাকে তাহলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

এবিষয়ে কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. নাসিমা আক্তারকে ফোন দিলে তিনি বলেন এবিষয়ে ডেপুটি সিভিল সার্জনকে ফোন দিন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা ডিপুটি সিভিল সার্জন ডা.নাজমুল আলম বলেন, আমি সাংবাদিকের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। সাংবাদিক কোন তথ্য দিলে আমি সেটাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে দেখি। আমরা আমাদের প্রক্রিয়া অনুযায়ী সামনে আগাবো।

আপলোডকারীর তথ্য

চীন-সার্বিয়া অভিন্ন কল্যাণের সমাজ প্রতিষ্ঠার ‘যৌথ বিবৃতি’ স্বাক্ষর

কুমিল্লায় নাভানা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মায়ের মৃত্যু

আপডেট সময় ১২:১৬:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলা নাভানা হাসপাতালের আবারো ভুল চিকিৎসার কারণে ঢাকাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মায়ের মৃত্যু ও নবজাতক শিশু আশংঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।
নিহত রোগীর নাম সীমা আক্তার। সে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার হরিমঙ্গল গ্রামের মো. শাহিন মিয়ার স্ত্রী।
রোগীর স্বজনদের মাধ্যমে জানা যায়, গত ১৫ অক্টোবর রোববার দুপুরে বুড়িচং পাচোড়া এলাকার গ্রাম্য ডাক্তার সোলেমান তাদের কে কুমিল্লা নাভানা হাসপাতালে নিয়ে আসে। আসার সময় এবং পরবর্তীতে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ্য ছিলো। সে নিজে হেটে ওটিতে যায়। ওটিতে অপারেশন করায় গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. উম্মে হাবিবা। তার ভুল চিকিৎসার কারণে রোগীর অতিরিক্ত ব্ল্যাডিং হয়। পরে রোগীকে নাভানা হাসপাতাল থেকে মুনে রেফার করে।
তারা আরো জানায় মুনে নেওয়ার রোগীর অবস্থা আশংকাজনক দেখে রিস্ক নিয়ে তাকে আবার ওটিতে পাঠায়। সেখানে ডা. লিরা অপারেশন করলে রোগীর ব্ল্যাডিং ৯০% বন্ধ হয়। কিন্তু এরি মধ্যে রোগী প্রায় রক্তশূণ্য হয়ে যায়। পরে রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে তাকে ঢাকা রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সীমা মৃত্যুবরণ করে। এবং নবজাতক শিশুকে ঢাকাতে এনআইসিইউতে রাখা হয়েছে।
স্বজনরা বলেন, আমরা কুমিল্লাতে এসে নাভানা হাসপাতাল ও ডাক্তারদের বিরুদ্ধে সিভিল সার্জন বরাবর অভিযোগ করবো এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো।
গতকাল সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি বিভাগে নেই কোন ডাক্তার। ডা. উম্মে হাবিবা প্রতিদিন ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে চেম্বারে আসেন। কিন্তু গতকাল বিকাল ৩টায়ও সে চেম্বারে আসেনি। অনেক বেডে দেখা যায় নোংড়া ব্যবস্থাপনা। হাসপাতালের লাইসেন্স রেনু করা হয়নি প্রায় ১ বছর। এসময় সেবার মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেন অনেক রোগী।
এ বিষয়ে জানতে গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. উম্মে হাবিবাকে পরিচালক মো.আবদুল আউয়াল সরকারের সামনে মুঠো ফোনে ফোন দেই। তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেয় এবং সাথে সাথে মোবাইল বন্ধ করে দেয়।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের এনেস্থিসিয়া বিশেষজ্ঞ ডা. মুহিদ বলেন, আমি এনেস্থিসিয়া বিশেষজ্ঞ আমার কাজ রোগী অজ্ঞান করা। আমি যতটুকু জানি রোগীর স্বজনরা আল্ট্রার রিপোর্ট হাইড(গোপন) করেছে। তাদেরকে রক্ত রিজার্ভ রাখার কথা বলার পরেও এক ব্যাগ রক্ত রাখতে পারেনি। সিজার করার পরে যখন ব্লাডিং হচ্ছিল তখন রোগীকে মুন হাসাপাতালে রেফার করা হয়।
হাসপাতালের পরিচালক মো. আবদুল আউয়াল সরকার বলেন, আমাদের কাজ রোগীর সেবা দেওয়া, রোগীকে মেরে ফেলা নয়। এখানে অপারেশন করেছে ডাক্তার। ডাক্তার যদি কোন ভুল করে থাকে তাহলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

এবিষয়ে কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. নাসিমা আক্তারকে ফোন দিলে তিনি বলেন এবিষয়ে ডেপুটি সিভিল সার্জনকে ফোন দিন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা ডিপুটি সিভিল সার্জন ডা.নাজমুল আলম বলেন, আমি সাংবাদিকের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। সাংবাদিক কোন তথ্য দিলে আমি সেটাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে দেখি। আমরা আমাদের প্রক্রিয়া অনুযায়ী সামনে আগাবো।