ঢাকা ০২:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আমতলীর ডলার জালাল গ্রেফতার Logo বরুড়ায় দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকার তৃতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত Logo পোস্তগোলা ব্রিজের ঢালে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে ৬ ডাকাত আটক Logo সুবর্ণচরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ১৫, দোকানপাট-বাড়িঘর ভাঙচুর Logo সাবেক চেয়ারম্যান ও বহিষ্কৃত সিইও’র ষড়যন্ত্রে সোনালী লাইফ Logo ঢাকা সাব-এডিটরস এর নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ Logo রূপসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল Logo চীন-সার্বিয়া অভিন্ন কল্যাণের সমাজ প্রতিষ্ঠার ‘যৌথ বিবৃতি’ স্বাক্ষর Logo “দূর থেকে বন্ধু আসছে” থিম সম্বলিত স্মারক ডাকটিকিটও প্রকাশ Logo হাঙ্গেরির গণমাধ্যমে স্বাক্ষরযুক্ত নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন সি চিন পিং

চীনের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন চীনা সভ্যতার আধুনিক শক্তি: সি চিন পিং

রুবি: ১ ও ২ জুন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং চীনের নতুন দুটি সাংস্কৃতিক স্থাপনা ‘ন্যাশনাল আর্কাইভ অব পাবলিকেশন্স অ্যান্ড কালচার এবং চাইনিজ একাডেমি অব হিস্ট্রি’ পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মসভায় উপস্থিত ছিলেন।

এসময় তিনি প্রথমবারের মতো চীনা জাতির আধুনিক সভ্যতা প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁর এ পরিদর্শনের তাৎপর্য কী?
চীনের ন্যাশনাল আর্কাইভ অব পাবলিকেশন্স অ্যান্ড কালচারে প্রধানত চীনা সভ্যতাকে তুলে ধরে এমন নানা বিরল উপাদান রয়েছে। বলা যায়, এটি চীনা সংস্কৃতির ‘জিন ভাণ্ডার’।
সি চিন পি’র অনুমোদনে এ সাংস্কৃতিক স্থাপনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর লক্ষ্য হচ্ছে চীনা সভ্যতাকে ধারণ এবং লালন করা। চীনা সভ্যতা হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র সভ্যতা, যা কখনো বিচ্ছিন্ন হয়নি। চাইনিজ একাডেমি অব হিস্ট্রি’র প্রধান কাজ হলো জাতীয় পর্যায়ের ঐতিহাসিক একাডেমিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা।

গত ১০ বছরে চীনের অনেক জাদুঘরসহ নানা স্থাপনা সি চিন পিং পরিদর্শন করেছেন। সংস্কৃতি নিয়ে তাঁর আবেগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করতে চাই যে আমরা কোথা থেকে এসেছি এবং কোথায় যাব।’
সি চি পিং এবার যে দুটি স্থাপনা পরিদর্শন করেছেন, তাদের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এবারের পরিদর্শনের সময় সি চিন পিং বলেন, ‘আমাদের এ যুগে দেশ সমৃদ্ধ এবং সমাজ নিরাপদ ও স্থিতিশীল রয়েছে। জাতীয় সংস্কৃতি ধারণ ও লালনের ইচ্ছা এবং সক্ষমতাও রয়েছে। এ বড় কাজ ভালোভাবে আঞ্জাম দিতে হবে।’

প্রেসিডেন্ট সি’র মুখে উচ্চারিত ‘আমাদের এ যুগ’ মানে ২০১২ সালের পর সৃষ্ট চীনের নতুন যুগ। এ নতুন যুগে চীনে ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটেছে এবং ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট সি উল্লেখিত ‘এ বড় কাজ’ হলো নতুন যুগের নতুন সংস্কৃতি এবং চীনা জাতির আধুনিক সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করা।
চীনা জাতির সুষ্ঠু সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও ধরে রাখায় গুরুত্ব দেন সি চিন পিং। তিনি চীনা জাতির সভ্যতার বৈচিত্র্য এবং আধুনিক সভ্যতার ওপর এর প্রভাবের সারসংক্ষেপ করেছেন। সেগুলো হলো: এক, চীনা সভ্যতার ধারাবাহিকতা রয়েছে, তাই চীনা জাতিকে নিজের পথে এগিয়ে চলতে হবে। দুই, চীনা জাতির সভ্যতা উদ্ভাবনশীল, তাই চীনা জাতি খুব উদ্যোগী এবং নির্ভীক। তিন, চীনা সভ্যতা খুবই সুসংহত। তাই চীনের বিভিন্ন জাতির মধ্যে ঐক্য দেখা গেছে। তা জাতীয় ঐক্য যে চীনা জাতির কেন্দ্রীয় স্বার্থের প্রাধান্য- তা নির্দেশ করে। চার, চীনা সভ্যতা খুব সহনশীল। তাই বিশ্ব সভ্যতা থেকে শিক্ষা গ্রহণে উন্মুক্ত। পাঁচ, চীনা সভ্যতা খুব শান্তিপূর্ণ। ফলে নিজের মূল্যবোধ ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেবে না, সহযোগিতার পথে অবিচল থাকবে এবং বৈরিতা সৃষ্টি করবে না চীন।
সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, চীনের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন চীনা সভ্যতাকে আধুনিক শক্তি যোগায়। চীনা সভ্যতা চীনের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের জন্য মূল শক্তি প্রদান করে। পাঁচহাজার বছরের ঐতিহাসিক সভ্যতার ভিত্তিতে চীনের বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্রের উন্নয়ন করেছে চীন।

মার্ক্সবাদের মূল তত্ত্বের সঙ্গে চীনের বাস্তবতা এবং চীনের সুষ্ঠু সংস্কৃতির মিশ্রণ করে সমন্বিত নতুন সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। এর ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত নতুন যুগের চীনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সমাজতন্ত্র সিপিসি’র তাত্ত্বিক এবং ব্যবস্থামূলক উদ্ভাবন। তা সিপিসি’র ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক আস্থার নতুন পর্যায়ে পৌঁছানোর প্রতীক।

সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, চীনা জাতিকে আধুনিক সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করতে গেলে সাংস্কৃতিক আস্থা এবং নিজের পথে এগিয়ে চলতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে হবে। মানসিক স্বাধীনতা বাস্তবায়ন করতে হবে। উন্মুক্তকরণ ও সহনশীলতা, বাস্তবতা ও উদ্ভাবনে অবিচল থাকতে হবে, যাতে চীনের ইতিহাস ধরে রাখা এবং আধুনিক অধ্যায় সৃষ্টি করা যায়।
সূত্র:চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

আমতলীর ডলার জালাল গ্রেফতার

চীনের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন চীনা সভ্যতার আধুনিক শক্তি: সি চিন পিং

আপডেট সময় ০৫:৫২:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩

রুবি: ১ ও ২ জুন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং চীনের নতুন দুটি সাংস্কৃতিক স্থাপনা ‘ন্যাশনাল আর্কাইভ অব পাবলিকেশন্স অ্যান্ড কালচার এবং চাইনিজ একাডেমি অব হিস্ট্রি’ পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মসভায় উপস্থিত ছিলেন।

এসময় তিনি প্রথমবারের মতো চীনা জাতির আধুনিক সভ্যতা প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁর এ পরিদর্শনের তাৎপর্য কী?
চীনের ন্যাশনাল আর্কাইভ অব পাবলিকেশন্স অ্যান্ড কালচারে প্রধানত চীনা সভ্যতাকে তুলে ধরে এমন নানা বিরল উপাদান রয়েছে। বলা যায়, এটি চীনা সংস্কৃতির ‘জিন ভাণ্ডার’।
সি চিন পি’র অনুমোদনে এ সাংস্কৃতিক স্থাপনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর লক্ষ্য হচ্ছে চীনা সভ্যতাকে ধারণ এবং লালন করা। চীনা সভ্যতা হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র সভ্যতা, যা কখনো বিচ্ছিন্ন হয়নি। চাইনিজ একাডেমি অব হিস্ট্রি’র প্রধান কাজ হলো জাতীয় পর্যায়ের ঐতিহাসিক একাডেমিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা।

গত ১০ বছরে চীনের অনেক জাদুঘরসহ নানা স্থাপনা সি চিন পিং পরিদর্শন করেছেন। সংস্কৃতি নিয়ে তাঁর আবেগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করতে চাই যে আমরা কোথা থেকে এসেছি এবং কোথায় যাব।’
সি চি পিং এবার যে দুটি স্থাপনা পরিদর্শন করেছেন, তাদের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এবারের পরিদর্শনের সময় সি চিন পিং বলেন, ‘আমাদের এ যুগে দেশ সমৃদ্ধ এবং সমাজ নিরাপদ ও স্থিতিশীল রয়েছে। জাতীয় সংস্কৃতি ধারণ ও লালনের ইচ্ছা এবং সক্ষমতাও রয়েছে। এ বড় কাজ ভালোভাবে আঞ্জাম দিতে হবে।’

প্রেসিডেন্ট সি’র মুখে উচ্চারিত ‘আমাদের এ যুগ’ মানে ২০১২ সালের পর সৃষ্ট চীনের নতুন যুগ। এ নতুন যুগে চীনে ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটেছে এবং ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট সি উল্লেখিত ‘এ বড় কাজ’ হলো নতুন যুগের নতুন সংস্কৃতি এবং চীনা জাতির আধুনিক সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করা।
চীনা জাতির সুষ্ঠু সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও ধরে রাখায় গুরুত্ব দেন সি চিন পিং। তিনি চীনা জাতির সভ্যতার বৈচিত্র্য এবং আধুনিক সভ্যতার ওপর এর প্রভাবের সারসংক্ষেপ করেছেন। সেগুলো হলো: এক, চীনা সভ্যতার ধারাবাহিকতা রয়েছে, তাই চীনা জাতিকে নিজের পথে এগিয়ে চলতে হবে। দুই, চীনা জাতির সভ্যতা উদ্ভাবনশীল, তাই চীনা জাতি খুব উদ্যোগী এবং নির্ভীক। তিন, চীনা সভ্যতা খুবই সুসংহত। তাই চীনের বিভিন্ন জাতির মধ্যে ঐক্য দেখা গেছে। তা জাতীয় ঐক্য যে চীনা জাতির কেন্দ্রীয় স্বার্থের প্রাধান্য- তা নির্দেশ করে। চার, চীনা সভ্যতা খুব সহনশীল। তাই বিশ্ব সভ্যতা থেকে শিক্ষা গ্রহণে উন্মুক্ত। পাঁচ, চীনা সভ্যতা খুব শান্তিপূর্ণ। ফলে নিজের মূল্যবোধ ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেবে না, সহযোগিতার পথে অবিচল থাকবে এবং বৈরিতা সৃষ্টি করবে না চীন।
সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, চীনের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন চীনা সভ্যতাকে আধুনিক শক্তি যোগায়। চীনা সভ্যতা চীনের বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের জন্য মূল শক্তি প্রদান করে। পাঁচহাজার বছরের ঐতিহাসিক সভ্যতার ভিত্তিতে চীনের বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্রের উন্নয়ন করেছে চীন।

মার্ক্সবাদের মূল তত্ত্বের সঙ্গে চীনের বাস্তবতা এবং চীনের সুষ্ঠু সংস্কৃতির মিশ্রণ করে সমন্বিত নতুন সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। এর ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত নতুন যুগের চীনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সমাজতন্ত্র সিপিসি’র তাত্ত্বিক এবং ব্যবস্থামূলক উদ্ভাবন। তা সিপিসি’র ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক আস্থার নতুন পর্যায়ে পৌঁছানোর প্রতীক।

সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, চীনা জাতিকে আধুনিক সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করতে গেলে সাংস্কৃতিক আস্থা এবং নিজের পথে এগিয়ে চলতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে হবে। মানসিক স্বাধীনতা বাস্তবায়ন করতে হবে। উন্মুক্তকরণ ও সহনশীলতা, বাস্তবতা ও উদ্ভাবনে অবিচল থাকতে হবে, যাতে চীনের ইতিহাস ধরে রাখা এবং আধুনিক অধ্যায় সৃষ্টি করা যায়।
সূত্র:চায়না মিডিয়া গ্রুপ।