ঢাকা ০৩:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নির্বাসিত আইনজীবি ও অধিকার কর্মী নয়ন বাঙ্গালির মা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে Logo বরুড়ায় ওরাই আপনজন সংগঠনের বিশুদ্ধ পানি ও ওরস্যালাইন বিতরণ Logo শিল্পের উৎপাদন ক্ষমতা অভ্যন্তরীণ চাহিদার চেয়ে বেশি হলে রপ্তানি খুব স্বাভাবিক Logo দুই দেশের অংশীদার হওয়া উচিত, প্রতিদ্বন্দ্বী নয়; সি চিন পিং Logo বর্তমানে চীন-মার্কিন সম্পর্ক স্থিতিশীল রয়েছে:ওয়াং ই Logo বালিয়াডাঙ্গীতে ইসতিসকার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত Logo বরুড়ায় কিশোরীকে অপহরণের পর পরিবারের অমতে বিয়ের অভিযোগ Logo বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাউন্সির মেহেরুন্নেসা হসপিটালে ভর্তি Logo মুরাদনগরে নাগরিক ঐক্য পরিষদের প্রার্থী ঘোষনা Logo ফুলবাড়ীতে ঐতিহ্যবাহী পুরাতন চিন্তামন ঘোড়ার মেলা শুরু

দুর্গম হাওরে শিশুদের পাঠ দিলেন প্রতিমন্ত্রী, শুনলেন সমস্যার কথা

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দুর্গম হাওরাঞ্চলে গিয়ে শিশুদের ক্লাস নিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী। এ সময় তিনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে তাদের সমস্যার কথাও শোনেন।

সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রুমানা আলী উপজেলার হাওরবেষ্টিত কয়েকটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।

এর আগের দিন রোববার তিনি সুনামগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে জেলার ১১ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক মায়েদের সমাবেশে যোগ দেন এবং তাদের কথাবার্তা শুনেন।

সকাল ১০টায় সড়কপথে তাহিরপুর উপজেলা সদরে পৌঁছান প্রতিমন্ত্রী। পরে স্পিডবোটে উপজেলার শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের দুর্গম উমেদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান।

এ সময় বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে গিয়ে তিনি নিজেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান এবং শিক্ষকদের পাঠদান কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।

প্রতিমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের কাছে জাতীয় দিবসগুলোর বিষয়ে জানতে চান। পরে তিনি বিদ্যালয়ের দুপুরের খাবার এবং বর্ষায় তাদের স্কুলে আসতে কী কী সমস্যা হয় সেসব বিষয়ে শোনেন।

সেখান থেকে তিনি একই ইউনিয়নের আনন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর ইউনিয়নের সূর্য্যেরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিশর্দন করেন। সেখানেও তিনি শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে গিয়ে পাঠদান করান।

বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী হাওরাঞ্চলে ঝড়েপড়া ঠেকাতে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় হাওরাঞ্চলের অভিভাবকরা তাকে বর্ষাকালে যাতায়াতে দুর্ভোগ, ঝুঁকি, উপবৃত্তি প্রাপ্তির সমস্যা, স্কুলে দুপুরের খাবার পরিবেশনের দাবি জানান।

দুর্গম হাওরে শিশুদের পাঠ দিলেন প্রতিমন্ত্রী, শুনলেন সমস্যার কথা
প্রতিমন্ত্রী হাওরাঞ্চলের মা ও অভিভাবকদেরকে সন্তানদের নিয়মিত স্কুলে দিতে অনুরোধ জানান। পাশাপাশি শিক্ষকদের নিয়মিত যাতায়াত ও পাঠদান বিষয়েও খোঁজ-খবর রাখার কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোছাম্মদ নুরজাহান খাতুন, সিলেট বিভাগীয় উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দিন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহনলাল দাশ, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভীন।

এদিকে রোববার সুনামগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে ‘মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ ও মা সমাবেশে’ যোগ দেন প্রতিমন্ত্রী।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সবাই সুন্দর ও ভালো জায়গায় যেতে চায়। সুন্দর ও উন্নত জায়গা নিয়ে আসলে ভাবার কিছু নেই। আমার মনে হয়েছে, যদি আমি দুর্গম এলাকা থেকে শুরু করতে পারি তাহলে মনে হবে আমি প্রান্তিক মানুষের জন্য কিছু করতে পারব। আর এই ভাবনা থেকেই হাওরে চলে এসেছি। রমজানের মাঝামাঝি সময়ে পাহাড়েও যাব।”

অনলাইন বদলিতে অনিয়ম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শিক্ষক বদলি সহজ করার জন্য অনলাইন সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এতে স্বচ্ছতা এসেছে। এই স্বচ্ছতার জন্যই প্রধানমন্ত্রী সবকিছু ডিজিটাল করে দিয়েছেন। আমরাও বদলি ও নিয়োগে স্বচ্ছতা এনেছি। প্রধানমন্ত্রী এখন স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিকের জন্য স্কুলে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাসিত আইনজীবি ও অধিকার কর্মী নয়ন বাঙ্গালির মা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে

দুর্গম হাওরে শিশুদের পাঠ দিলেন প্রতিমন্ত্রী, শুনলেন সমস্যার কথা

আপডেট সময় ০৯:৪১:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দুর্গম হাওরাঞ্চলে গিয়ে শিশুদের ক্লাস নিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী। এ সময় তিনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে তাদের সমস্যার কথাও শোনেন।

সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রুমানা আলী উপজেলার হাওরবেষ্টিত কয়েকটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।

এর আগের দিন রোববার তিনি সুনামগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে জেলার ১১ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক মায়েদের সমাবেশে যোগ দেন এবং তাদের কথাবার্তা শুনেন।

সকাল ১০টায় সড়কপথে তাহিরপুর উপজেলা সদরে পৌঁছান প্রতিমন্ত্রী। পরে স্পিডবোটে উপজেলার শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের দুর্গম উমেদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান।

এ সময় বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে গিয়ে তিনি নিজেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান এবং শিক্ষকদের পাঠদান কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।

প্রতিমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের কাছে জাতীয় দিবসগুলোর বিষয়ে জানতে চান। পরে তিনি বিদ্যালয়ের দুপুরের খাবার এবং বর্ষায় তাদের স্কুলে আসতে কী কী সমস্যা হয় সেসব বিষয়ে শোনেন।

সেখান থেকে তিনি একই ইউনিয়নের আনন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর ইউনিয়নের সূর্য্যেরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিশর্দন করেন। সেখানেও তিনি শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে গিয়ে পাঠদান করান।

বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী হাওরাঞ্চলে ঝড়েপড়া ঠেকাতে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় হাওরাঞ্চলের অভিভাবকরা তাকে বর্ষাকালে যাতায়াতে দুর্ভোগ, ঝুঁকি, উপবৃত্তি প্রাপ্তির সমস্যা, স্কুলে দুপুরের খাবার পরিবেশনের দাবি জানান।

দুর্গম হাওরে শিশুদের পাঠ দিলেন প্রতিমন্ত্রী, শুনলেন সমস্যার কথা
প্রতিমন্ত্রী হাওরাঞ্চলের মা ও অভিভাবকদেরকে সন্তানদের নিয়মিত স্কুলে দিতে অনুরোধ জানান। পাশাপাশি শিক্ষকদের নিয়মিত যাতায়াত ও পাঠদান বিষয়েও খোঁজ-খবর রাখার কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোছাম্মদ নুরজাহান খাতুন, সিলেট বিভাগীয় উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দিন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহনলাল দাশ, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভীন।

এদিকে রোববার সুনামগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে ‘মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ ও মা সমাবেশে’ যোগ দেন প্রতিমন্ত্রী।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সবাই সুন্দর ও ভালো জায়গায় যেতে চায়। সুন্দর ও উন্নত জায়গা নিয়ে আসলে ভাবার কিছু নেই। আমার মনে হয়েছে, যদি আমি দুর্গম এলাকা থেকে শুরু করতে পারি তাহলে মনে হবে আমি প্রান্তিক মানুষের জন্য কিছু করতে পারব। আর এই ভাবনা থেকেই হাওরে চলে এসেছি। রমজানের মাঝামাঝি সময়ে পাহাড়েও যাব।”

অনলাইন বদলিতে অনিয়ম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শিক্ষক বদলি সহজ করার জন্য অনলাইন সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এতে স্বচ্ছতা এসেছে। এই স্বচ্ছতার জন্যই প্রধানমন্ত্রী সবকিছু ডিজিটাল করে দিয়েছেন। আমরাও বদলি ও নিয়োগে স্বচ্ছতা এনেছি। প্রধানমন্ত্রী এখন স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিকের জন্য স্কুলে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”