ঢাকা ০৭:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাউরু চীন সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক: নাউরুর প্রেসিডেন্ট আদিয়াং

সম্প্রতি নাউরুর প্রেসিডেন্ট ডেভিড রানীবোক আদিয়াং বোআও এশিয়া ফোরামে অংশ নিতে চীন সফর করেন এবং চায়না মিডিয়া গ্রুপ-সিএমজিকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দেন। এতে তিনি বলেন যে, তাঁর দেশ ইতিহাসের সঠিক পাশে দাঁড়াতে চায়। চীনের উত্থাপিত বিশ্বব্যাপী উদ্যোগগুলো বিশ্বের উন্নয়নে নতুন প্রাণশক্তি যুগিয়েছে বলেও তিনি উচ্চ মূল্যায়ন করেছেন।

গত জানুয়ারি মাসে চীন ও নাউরুর কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রথমবারের মত চীন সফর করেন।

সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট আদিয়াং বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং একজন প্রশংসনীয় নেতা। তার বিশ্বদৃষ্টি, বিশ্ব সম্পর্কে তার অন্তর্দৃষ্টি এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে দেশগুলো কীভাবে যোগাযোগ করতে পারে এবং একে অপরকে সাহায্য করতে পারে সে সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি সত্যিই উৎসাহব্যঞ্জক। তিনি অনুভব করেছেন যে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁর মাতৃভূমিকে গভীরভাবে ভালোবাসেন এবং চীন ও চীনা জনগণকে আরও সমৃদ্ধ, শক্তিশালী, উন্নত এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যেতে তিনি বদ্ধপরিকর। যদিও নাউরু একটি ছোট দেশ, তবে তাঁর দেশ চীনকে যথাসাধ্য সমর্থন এবং চীন সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক।

প্রেসিডেন্ট আদিয়াং আরো বলেন, চীনের প্রেসিডেন্টের উত্থাপিত মানবাজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ এবং ধারাবাহিক গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক উদ্যোগগুলোকে সমর্থন করে নাউরু। তার দেশ এ সব উদ্যোগে অংশ নিতে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।

তাইওয়ানের সঙ্গে তথাকথিত ‘কূটনৈতিক সম্পর্ক’ বিচ্ছিন্ন করার প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট আদিয়াং বলেন, এ বিষয়ে কোনো বিতর্ক নেই। সংসদে সবাই সর্বসম্মতভাবে এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে, এক-চীন নীতিকে স্বীকৃতি এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠাকে সমর্থন করেছে। তিনি বিশ্বাস করেন যে নাউরুর সংসদ সদস্যরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও উন্নয়নের জন্য পর্যায়ক্রমে চীন সফর করবেন।

প্রেসিডেন্ট আদিয়াং বলেন, তাইওয়ানের সাথে তথাকথিত ‘কূটনৈতিক সম্পর্ক’ ছিন্ন করেছে তাঁর দেশ। নাউরু আশা করে যে হংকং যেমন চীনে ফিরে এসেছে, তাইওয়ানও তেমনি ফিরে আসবে। তিনি মনে করেন ইতিহাস প্রমাণ করবে তাঁদের সিদ্ধান্ত সঠিক। এটি এক-চীন নীতি সম্পর্কে তাঁদের উপলব্ধি।

সূত্র: শুয়েই-হাশিম-আকাশ, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

জনপ্রিয় সংবাদ

নাউরু চীন সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক: নাউরুর প্রেসিডেন্ট আদিয়াং

আপডেট সময় ০৫:১৭:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪

সম্প্রতি নাউরুর প্রেসিডেন্ট ডেভিড রানীবোক আদিয়াং বোআও এশিয়া ফোরামে অংশ নিতে চীন সফর করেন এবং চায়না মিডিয়া গ্রুপ-সিএমজিকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দেন। এতে তিনি বলেন যে, তাঁর দেশ ইতিহাসের সঠিক পাশে দাঁড়াতে চায়। চীনের উত্থাপিত বিশ্বব্যাপী উদ্যোগগুলো বিশ্বের উন্নয়নে নতুন প্রাণশক্তি যুগিয়েছে বলেও তিনি উচ্চ মূল্যায়ন করেছেন।

গত জানুয়ারি মাসে চীন ও নাউরুর কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রথমবারের মত চীন সফর করেন।

সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট আদিয়াং বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং একজন প্রশংসনীয় নেতা। তার বিশ্বদৃষ্টি, বিশ্ব সম্পর্কে তার অন্তর্দৃষ্টি এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে দেশগুলো কীভাবে যোগাযোগ করতে পারে এবং একে অপরকে সাহায্য করতে পারে সে সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি সত্যিই উৎসাহব্যঞ্জক। তিনি অনুভব করেছেন যে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁর মাতৃভূমিকে গভীরভাবে ভালোবাসেন এবং চীন ও চীনা জনগণকে আরও সমৃদ্ধ, শক্তিশালী, উন্নত এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যেতে তিনি বদ্ধপরিকর। যদিও নাউরু একটি ছোট দেশ, তবে তাঁর দেশ চীনকে যথাসাধ্য সমর্থন এবং চীন সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক।

প্রেসিডেন্ট আদিয়াং আরো বলেন, চীনের প্রেসিডেন্টের উত্থাপিত মানবাজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ এবং ধারাবাহিক গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক উদ্যোগগুলোকে সমর্থন করে নাউরু। তার দেশ এ সব উদ্যোগে অংশ নিতে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।

তাইওয়ানের সঙ্গে তথাকথিত ‘কূটনৈতিক সম্পর্ক’ বিচ্ছিন্ন করার প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট আদিয়াং বলেন, এ বিষয়ে কোনো বিতর্ক নেই। সংসদে সবাই সর্বসম্মতভাবে এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে, এক-চীন নীতিকে স্বীকৃতি এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠাকে সমর্থন করেছে। তিনি বিশ্বাস করেন যে নাউরুর সংসদ সদস্যরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও উন্নয়নের জন্য পর্যায়ক্রমে চীন সফর করবেন।

প্রেসিডেন্ট আদিয়াং বলেন, তাইওয়ানের সাথে তথাকথিত ‘কূটনৈতিক সম্পর্ক’ ছিন্ন করেছে তাঁর দেশ। নাউরু আশা করে যে হংকং যেমন চীনে ফিরে এসেছে, তাইওয়ানও তেমনি ফিরে আসবে। তিনি মনে করেন ইতিহাস প্রমাণ করবে তাঁদের সিদ্ধান্ত সঠিক। এটি এক-চীন নীতি সম্পর্কে তাঁদের উপলব্ধি।

সূত্র: শুয়েই-হাশিম-আকাশ, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।