ঢাকা ১১:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিরপুর মডেল থানার ওসির খালাতো ভাই পরিচয়দাতা এসআই আকাশের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ

  • মনিহার মনি
  • আপডেট সময় ০৫:৪০:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪
  • ৩২০ বার পড়া হয়েছে

মনিহার মনি, ঢাকা

মিরপুর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জের আপন খালাতো ভাই পরিচয়দাতা এসআই মফিজুর রহমান আকাশ দীর্ঘদিন মিরপুর মডেল থানায় কর্মরত আছেন।
অনেক দিন কর্মত থাকাতে এবং আপন খালাতো ভাই ওসি হওয়াতে চালিয়ে যাচ্ছে আসামি ধরা এবং আসামি ছাড়ার কর্মকাণ্ড বেশ কিছুদিন যাবত চলছে মিরপুর মডেল থানাতে। যা ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারী দারুস সালাম থানা এলাকার মাদবর পট্টি থেকে সাভারের ফার্নিচার ও মুরগি ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন পিতা জয়নাল আবেদীন, গাড়ি চালক রনি এবং আলিফ গাড়ি চেকার মেসিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুর মডেল থানায়। পরবর্তীতে পুলিশের সোর্স আলমগীর ওরফে মুরগি আলমগীর সহ কয়েকজন সোর্সের সাথে আলাপ করে ইকবালকে একটি সাদা মাইক্রোতে তুলে সাভারের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশী নামে অভিযান চালায়।কোন কিছু না পেয়ে ওসির খালাতো ভাই পরিচদাতা এসআই খালি হাতে ফেরেন থানা এলাকাতে। মডেল থানার দোতালাতেই রয়েছে তাদের একটি টর্চার সেল। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মেসি, ইকবাল ও রনিকে মারধর করেন এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন আসামি দুই জন। রাত ১.৩০ ঘটিকায় তাড়াতাড়ি করে দুজন আসামি ইকবাল এবং রনিকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে পুনরায় থানায় এনে দোতলায় ইকবালের ছোট ভাই আওলাদ এবং তার বন্ধু মুন্নাকে আসার জন্য বলেন থানার দোতালায়। পরবর্তীতে তিনজন আসামিদের লোকজনকেই মডেল থানার দোতালায় নিয়ে কৌশলে ২ লক্ষ টাকা চাইলেন ছেড়ে দিবে বলে। পুলিশের সোর্স দের মাধ্যমে রাসেল ,মুরগি আলমগীর, শামীম এক পর্যায়ে ইকবালের ছোট ভাই আওলাদের নিকট থেকে ৪০ হাজার টাকা, ইকবালের পকেটে থাকা ৩০ হাজার টাকা এবং বিকাশে থাকা ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। রনিকে বিকাশে কুমিল্লা থেকে ৩০ হাজার টাকা পাঠান তাও নিয়ে নেন। সর্ব মোট ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রাত ২ ঘটিকার পর আসামিদের লোকজনের বলেন আপনারা কোর্টে জান কাল অথবা রবিবার জামিন হয়ে যাবে ইকবাল ও রনির। ছোট একটি মামলা দিয়েছি কারণ ডিসি, এ ডিসি ও এসি জানেন তাই ছাড়তে পারব না। আসামিদের লোকজন শুক্রবার কোর্টে গিয়ে দেখেন রনি ও ইকবালকে এক কেজি গাজা দিয়ে কোটে প্রেরণ করেন। উল্লেখ থাকে যে অত্র মামলার গ্রেপ্তার দেখানো হয় মিরপুর ১০ গোল চত্বর বারাকা হোটেলের পাকা রাস্তার উপর এবং তাদের নিকট উদ্ধার দেখানো হয় ইকবালের নিকট ৪০০ গ্রাম গাঁজা রনির নিকট ৬০০ গ্রাম গাঁজা জব্দ তালিকা মূলের সাক্ষী দেখানো হয় এসআই আকাশের টিমের সাথে কাজ করে সেই সোর্সরা তারাই অত্র এলাকার সাক্ষী হিসেবে পাওয়া যায়। ১-৩ ২০২৪ তারিখ টেক ৫ নং রোড থেকে ২৫ হাজার পিস ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী রুবেল ও জুয়েলকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে আসেন একই টিম দরকষাকষি করে তিন লাখ বিশ হাজার টাকা নিয়ে ৬০ ফিটে ছেড়ে দেন এসআই আকাশের টিম।যাহার একটি ফোন কল রেকর্ড সংরক্ষণ করা আছে। রুবেল ও জুয়েল আসামিদের নিকট নগদ টাকার প্রমাণ না থাকলেও বিকাশের লেনদেনের কিছু প্রমাণ থেকে যায়। এসব তথ্য জানতে এসআই আকাশকে ফোনে ফোন দিলে তিনি বলেন সরাসরি আসেন কথা বলি তারপর গণমাধ্যম কর্মী সরকার জামাল সহ চারজন থানার একটি রুমে বসে পরিচয় দিতে না দিতেই ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন আপনার কি নাম বলি যে সরকার জামাল তখন বলেন যে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা একাধিক আছে আপনার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা আছে। আর আমি এই এলাকায় ছাত্রলীগ করি আমার বাড়ি গোপালগঞ্জ এই থানার ওসি আমার আপন খালাতো ভাই আমরা করবো নাকি অন্যরা করবে ,একপর্যায়ে ইকবাল থেকে কিছুই পান নাই তারপরও তাকে টর্চার করে আসামিদের থেকে মোট ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তখন দারোগা আকাশ সাহেব এত হবে না কিছু একটা নিছি এসব তথ্য ডকুমেন্টস আছে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিরপুর মডেল থানার ওসির খালাতো ভাই পরিচয়দাতা এসআই আকাশের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ

আপডেট সময় ০৫:৪০:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪

মনিহার মনি, ঢাকা

মিরপুর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জের আপন খালাতো ভাই পরিচয়দাতা এসআই মফিজুর রহমান আকাশ দীর্ঘদিন মিরপুর মডেল থানায় কর্মরত আছেন।
অনেক দিন কর্মত থাকাতে এবং আপন খালাতো ভাই ওসি হওয়াতে চালিয়ে যাচ্ছে আসামি ধরা এবং আসামি ছাড়ার কর্মকাণ্ড বেশ কিছুদিন যাবত চলছে মিরপুর মডেল থানাতে। যা ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারী দারুস সালাম থানা এলাকার মাদবর পট্টি থেকে সাভারের ফার্নিচার ও মুরগি ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন পিতা জয়নাল আবেদীন, গাড়ি চালক রনি এবং আলিফ গাড়ি চেকার মেসিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুর মডেল থানায়। পরবর্তীতে পুলিশের সোর্স আলমগীর ওরফে মুরগি আলমগীর সহ কয়েকজন সোর্সের সাথে আলাপ করে ইকবালকে একটি সাদা মাইক্রোতে তুলে সাভারের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশী নামে অভিযান চালায়।কোন কিছু না পেয়ে ওসির খালাতো ভাই পরিচদাতা এসআই খালি হাতে ফেরেন থানা এলাকাতে। মডেল থানার দোতালাতেই রয়েছে তাদের একটি টর্চার সেল। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মেসি, ইকবাল ও রনিকে মারধর করেন এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন আসামি দুই জন। রাত ১.৩০ ঘটিকায় তাড়াতাড়ি করে দুজন আসামি ইকবাল এবং রনিকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে পুনরায় থানায় এনে দোতলায় ইকবালের ছোট ভাই আওলাদ এবং তার বন্ধু মুন্নাকে আসার জন্য বলেন থানার দোতালায়। পরবর্তীতে তিনজন আসামিদের লোকজনকেই মডেল থানার দোতালায় নিয়ে কৌশলে ২ লক্ষ টাকা চাইলেন ছেড়ে দিবে বলে। পুলিশের সোর্স দের মাধ্যমে রাসেল ,মুরগি আলমগীর, শামীম এক পর্যায়ে ইকবালের ছোট ভাই আওলাদের নিকট থেকে ৪০ হাজার টাকা, ইকবালের পকেটে থাকা ৩০ হাজার টাকা এবং বিকাশে থাকা ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। রনিকে বিকাশে কুমিল্লা থেকে ৩০ হাজার টাকা পাঠান তাও নিয়ে নেন। সর্ব মোট ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রাত ২ ঘটিকার পর আসামিদের লোকজনের বলেন আপনারা কোর্টে জান কাল অথবা রবিবার জামিন হয়ে যাবে ইকবাল ও রনির। ছোট একটি মামলা দিয়েছি কারণ ডিসি, এ ডিসি ও এসি জানেন তাই ছাড়তে পারব না। আসামিদের লোকজন শুক্রবার কোর্টে গিয়ে দেখেন রনি ও ইকবালকে এক কেজি গাজা দিয়ে কোটে প্রেরণ করেন। উল্লেখ থাকে যে অত্র মামলার গ্রেপ্তার দেখানো হয় মিরপুর ১০ গোল চত্বর বারাকা হোটেলের পাকা রাস্তার উপর এবং তাদের নিকট উদ্ধার দেখানো হয় ইকবালের নিকট ৪০০ গ্রাম গাঁজা রনির নিকট ৬০০ গ্রাম গাঁজা জব্দ তালিকা মূলের সাক্ষী দেখানো হয় এসআই আকাশের টিমের সাথে কাজ করে সেই সোর্সরা তারাই অত্র এলাকার সাক্ষী হিসেবে পাওয়া যায়। ১-৩ ২০২৪ তারিখ টেক ৫ নং রোড থেকে ২৫ হাজার পিস ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী রুবেল ও জুয়েলকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে আসেন একই টিম দরকষাকষি করে তিন লাখ বিশ হাজার টাকা নিয়ে ৬০ ফিটে ছেড়ে দেন এসআই আকাশের টিম।যাহার একটি ফোন কল রেকর্ড সংরক্ষণ করা আছে। রুবেল ও জুয়েল আসামিদের নিকট নগদ টাকার প্রমাণ না থাকলেও বিকাশের লেনদেনের কিছু প্রমাণ থেকে যায়। এসব তথ্য জানতে এসআই আকাশকে ফোনে ফোন দিলে তিনি বলেন সরাসরি আসেন কথা বলি তারপর গণমাধ্যম কর্মী সরকার জামাল সহ চারজন থানার একটি রুমে বসে পরিচয় দিতে না দিতেই ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন আপনার কি নাম বলি যে সরকার জামাল তখন বলেন যে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা একাধিক আছে আপনার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা আছে। আর আমি এই এলাকায় ছাত্রলীগ করি আমার বাড়ি গোপালগঞ্জ এই থানার ওসি আমার আপন খালাতো ভাই আমরা করবো নাকি অন্যরা করবে ,একপর্যায়ে ইকবাল থেকে কিছুই পান নাই তারপরও তাকে টর্চার করে আসামিদের থেকে মোট ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তখন দারোগা আকাশ সাহেব এত হবে না কিছু একটা নিছি এসব তথ্য ডকুমেন্টস আছে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে।