ঢাকা ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
উচ্চ আদালতের রুল শোকজ নিষ্পত্তি অমান্য

কুমিল্লা বোর্ডে জনবল নিয়োগ- শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক তদন্তের দাবি

কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের দুর্নীতির পাহাড় জমে আছে পরিষ্কার করার মতো কোনো সরকারি সংস্থা এগিয়ে আসেনি যার কারণে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে চলমান দুর্নীতির বিষয় গুলোর সমাধান চান কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।
এই বিষয়ে অনেকের মধ্যে চাপা গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে বিশেষ করে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সালে সিবিএ নেতা কাজী শাহ কামালের রাজত্ব ছিল। তখনকার সময়ে এতই দুর্নীতি হয়েছিল যে- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চতর ভিজিলেন্স টিম কর্তৃক কাজী শাহ কামাল, কাজী শফিকুর রহমান বিভিন্ন দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ছিল।
বিভিন্ন ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে উত্তোলন কৃত লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, সনদের, গরমিল কাজী শাহ কামাল কর্তৃক অবৈধ ৭৫ জন লোক নিয়োগ, বিভিন্ন দুর্নীতির কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভিজিলেন্স টিম শিক্ষা বোর্ডের দুর্নীতির তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় কাজী শাহ কামালসহ বোর্ডের সিবিএ নেতা কাজী শফিকুর রহমানকে সরকারের বিধি অমান্য কর্মচারী শৃঙ্খলা আইন বহির্ভূত কর্মকান্ড করার কারণে তাদেরকে চাকুরি থেকে অপসারণ করা হয়।
কিন্তু এত কিছু হওয়ার পরও পরবর্তী সিবিএ নেতা সৈয়দ মকবুল আহমেদের দুর্নীতি অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে বেড়ে যায় । তখন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে একনায়কতন্ত্র পরিচালিত হতে থাকে বিভিন্ন দুর্নীতির কারণে।
দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক প্রমাণিত হওয়ায় সৈয়দ মকবুল আহমেদসহ দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় বোর্ডের অনেক কর্মকর্তা কর্মচারী জেল হাজতবাস করেন দুর্নীতির মধ্যে অন্যতম ছিল বরুড়ার বিভিন্ন স্কুলের রেজিস্ট্রেশন জালিয়াতী। হাজত বাস করার পর পুনরায় চাকুরিতে পূর্ণবহাল হয়ে তখন দুর্নীতির মাধ্যমে পুকুর চুরি করা শুরু হয়।
এখানে লক্ষনীয় যে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সিবিএ নেতাদের দাপটে বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং সচিব বাধ্য হয়ে সিবিএ নেতাদের সহিত সখ্যতা গড়ে তুলে অর্থ আত্নসাতে জড়িয়ে পড়েন।
সিবিএ নেতাদের ক্ষমতার প্রভাব রাজনীতিক অবস্থায় বিভিন্ন এমপি মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে প্রভাব সৃষ্টি করে। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিজেদের উদ্দেশ্য সাধন করার লক্ষ্যে টাকার বিনিময়ে লোক নিয়োগ করা হয়। যেমন গত ৫/৮/২০১০ইং তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও ৩৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সৈয়দ মকবুল আহমেদ বেআইনি ও অবৈধ পেপার বিজ্ঞপ্তি, ব্যতিরেকে সরকারের নিয়ম আইন পরিপন্থী জনবল নিয়োগ করেন।
যা ছিল সম্পূর্ণ অবৈধ অনিয়মতান্ত্রিক পক্রিয়ায় জনবল নিয়োগ। তার কারণে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নিয়োগকে কেন্দ্র করে উচ্চ আদালতে মামলা সৃষ্টি হয়। উচ্চ আদালতের মামলা চলাকালীন সময়ে উচ্চ আদালতের রুল শোকজ আদেশকে অমান্য করে হাইকোর্টকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে কোনরকম বিচার-বিশ্লেষণ না করিয়া অর্থের লোভে সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল সালাম চারজনকে পদোন্নতি প্রদান করেন।
যার কারণে বোর্ডের প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এহেন অবৈধ বেআইনি আইন বহিভুত কর্মকান্ডের কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভিজিলেন্স টিম গঠনপূর্বক কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সার্বিক বিষয়গুলি তদন্ত করার জন্য দাবি জানিয়েছেন। তাছাড়া সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশন সহ অনন্য সংস্থা গুলোর মাধ্যমে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের দুর্নীতি গুলি তদন্ত করা অতিব প্রয়োজন।
এখানে আরেকটি বিষয় লক্ষ্যনীয় যে- বর্তমান আইন শাখায় হালিম মাহমুদ চাকুুরি থেকে অবসর গ্রহণ করা হলেও তিনি পুনরায় চুক্তিভিত্তিক ভাবে চাকুরিতে বহাল আছেন। তিনি ছাড়াও কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে অনেক আইনঅজ্ঞ কর্মকর্তা ব্যক্তি আছেন কিন্তু এই হালিম মাহমুদ চেয়ারম্যান সচিবকে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে বিভিন্ন আইনের মিথ্যা পরামর্শ দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের বিভিন্নভাবে ক্ষতি করে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন বোর্ডের মামলা গুলিকে সচল রাখিয়া তিনি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন চেয়ারম্যান সচিবকে ভুল তথ্য প্রদান করিয়া বোর্ডের লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন করছেন।
সে একজন বিশিষ্ট দুর্নীতিবাজ হিসেবে শিক্ষা বোর্ডের পরিচিত মুখ। বিভিন্ন স্কুল কলেজের কমিটির বিষয়ে আইনি পরামর্শের নামে তাকে লক্ষ লক্ষ টাকা দিতে হয়। বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা বলেন হালিম মাহমুদ কুমিল্লা বোর্ডের একজন আইনবিজ্ঞ লোক! কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে কি আর কোন আইনী বিজ্ঞ কর্মকর্তা নাই?
যে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের লোক নিয়োগের বিষয়ে প্রফেসর আব্দুস সালাম সাবেক চেয়ারম্যানের ৪ জন বর্তমান চেয়ারম্যান, সচিব ,অন্যান্য কর্মকর্তাদের মোট ২০ জন লোককে বিভিন্ন শাখায় মাস্টার রোলে নিয়োগ দিয়ে রেখেছেন তাদেরকে নিয়োগের অজুহাতে রেগুলার করার জন্য।

আপলোডকারীর তথ্য

উচ্চ আদালতের রুল শোকজ নিষ্পত্তি অমান্য

কুমিল্লা বোর্ডে জনবল নিয়োগ- শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক তদন্তের দাবি

আপডেট সময় ০১:২৬:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩

কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের দুর্নীতির পাহাড় জমে আছে পরিষ্কার করার মতো কোনো সরকারি সংস্থা এগিয়ে আসেনি যার কারণে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে চলমান দুর্নীতির বিষয় গুলোর সমাধান চান কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।
এই বিষয়ে অনেকের মধ্যে চাপা গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে বিশেষ করে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সালে সিবিএ নেতা কাজী শাহ কামালের রাজত্ব ছিল। তখনকার সময়ে এতই দুর্নীতি হয়েছিল যে- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চতর ভিজিলেন্স টিম কর্তৃক কাজী শাহ কামাল, কাজী শফিকুর রহমান বিভিন্ন দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ছিল।
বিভিন্ন ভূয়া ভাউচারের মাধ্যমে উত্তোলন কৃত লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, সনদের, গরমিল কাজী শাহ কামাল কর্তৃক অবৈধ ৭৫ জন লোক নিয়োগ, বিভিন্ন দুর্নীতির কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভিজিলেন্স টিম শিক্ষা বোর্ডের দুর্নীতির তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় কাজী শাহ কামালসহ বোর্ডের সিবিএ নেতা কাজী শফিকুর রহমানকে সরকারের বিধি অমান্য কর্মচারী শৃঙ্খলা আইন বহির্ভূত কর্মকান্ড করার কারণে তাদেরকে চাকুরি থেকে অপসারণ করা হয়।
কিন্তু এত কিছু হওয়ার পরও পরবর্তী সিবিএ নেতা সৈয়দ মকবুল আহমেদের দুর্নীতি অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে বেড়ে যায় । তখন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে একনায়কতন্ত্র পরিচালিত হতে থাকে বিভিন্ন দুর্নীতির কারণে।
দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক প্রমাণিত হওয়ায় সৈয়দ মকবুল আহমেদসহ দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় বোর্ডের অনেক কর্মকর্তা কর্মচারী জেল হাজতবাস করেন দুর্নীতির মধ্যে অন্যতম ছিল বরুড়ার বিভিন্ন স্কুলের রেজিস্ট্রেশন জালিয়াতী। হাজত বাস করার পর পুনরায় চাকুরিতে পূর্ণবহাল হয়ে তখন দুর্নীতির মাধ্যমে পুকুর চুরি করা শুরু হয়।
এখানে লক্ষনীয় যে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সিবিএ নেতাদের দাপটে বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং সচিব বাধ্য হয়ে সিবিএ নেতাদের সহিত সখ্যতা গড়ে তুলে অর্থ আত্নসাতে জড়িয়ে পড়েন।
সিবিএ নেতাদের ক্ষমতার প্রভাব রাজনীতিক অবস্থায় বিভিন্ন এমপি মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে প্রভাব সৃষ্টি করে। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিজেদের উদ্দেশ্য সাধন করার লক্ষ্যে টাকার বিনিময়ে লোক নিয়োগ করা হয়। যেমন গত ৫/৮/২০১০ইং তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও ৩৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সৈয়দ মকবুল আহমেদ বেআইনি ও অবৈধ পেপার বিজ্ঞপ্তি, ব্যতিরেকে সরকারের নিয়ম আইন পরিপন্থী জনবল নিয়োগ করেন।
যা ছিল সম্পূর্ণ অবৈধ অনিয়মতান্ত্রিক পক্রিয়ায় জনবল নিয়োগ। তার কারণে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নিয়োগকে কেন্দ্র করে উচ্চ আদালতে মামলা সৃষ্টি হয়। উচ্চ আদালতের মামলা চলাকালীন সময়ে উচ্চ আদালতের রুল শোকজ আদেশকে অমান্য করে হাইকোর্টকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে কোনরকম বিচার-বিশ্লেষণ না করিয়া অর্থের লোভে সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল সালাম চারজনকে পদোন্নতি প্রদান করেন।
যার কারণে বোর্ডের প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এহেন অবৈধ বেআইনি আইন বহিভুত কর্মকান্ডের কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভিজিলেন্স টিম গঠনপূর্বক কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সার্বিক বিষয়গুলি তদন্ত করার জন্য দাবি জানিয়েছেন। তাছাড়া সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশন সহ অনন্য সংস্থা গুলোর মাধ্যমে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের দুর্নীতি গুলি তদন্ত করা অতিব প্রয়োজন।
এখানে আরেকটি বিষয় লক্ষ্যনীয় যে- বর্তমান আইন শাখায় হালিম মাহমুদ চাকুুরি থেকে অবসর গ্রহণ করা হলেও তিনি পুনরায় চুক্তিভিত্তিক ভাবে চাকুরিতে বহাল আছেন। তিনি ছাড়াও কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে অনেক আইনঅজ্ঞ কর্মকর্তা ব্যক্তি আছেন কিন্তু এই হালিম মাহমুদ চেয়ারম্যান সচিবকে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে বিভিন্ন আইনের মিথ্যা পরামর্শ দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের বিভিন্নভাবে ক্ষতি করে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন বোর্ডের মামলা গুলিকে সচল রাখিয়া তিনি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন চেয়ারম্যান সচিবকে ভুল তথ্য প্রদান করিয়া বোর্ডের লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন করছেন।
সে একজন বিশিষ্ট দুর্নীতিবাজ হিসেবে শিক্ষা বোর্ডের পরিচিত মুখ। বিভিন্ন স্কুল কলেজের কমিটির বিষয়ে আইনি পরামর্শের নামে তাকে লক্ষ লক্ষ টাকা দিতে হয়। বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা বলেন হালিম মাহমুদ কুমিল্লা বোর্ডের একজন আইনবিজ্ঞ লোক! কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে কি আর কোন আইনী বিজ্ঞ কর্মকর্তা নাই?
যে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের লোক নিয়োগের বিষয়ে প্রফেসর আব্দুস সালাম সাবেক চেয়ারম্যানের ৪ জন বর্তমান চেয়ারম্যান, সচিব ,অন্যান্য কর্মকর্তাদের মোট ২০ জন লোককে বিভিন্ন শাখায় মাস্টার রোলে নিয়োগ দিয়ে রেখেছেন তাদেরকে নিয়োগের অজুহাতে রেগুলার করার জন্য।