ঢাকা ০৪:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হিজড়াদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ জনসাধারণ

খন্দকার তাওরিদ প্রান্ত

রাজধানীতে দিনের আলোয় প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি বেড়েই চলেছে হিজরা সমষ্টিদের।

বহুল প্রচলিত হিজড়াদের চাঁদাবাজিতার এই প্রচলন যেন শুরু থেকেই ঘটে আসছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল সহ বিশেষ করে রাজধানীতে এদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার পরিমাণ বেশি হওয়ায় অহরহ রাস্তাঘাটে সিএনজি, অটোরিকশা কিংবা প্রাইভেটকার থামিয়ে আদায় করা হচ্ছে চাঁদা। চলন্ত বাসে উঠে যাত্রী প্রতি উঠানো হচ্ছে টাকা। শুধু টাকা নিয়েই যে থেমে থাকছে এরা এমনটি ও নয় । টাকার পরিমান কম বেশি নিলেও লাঞ্ছিত করছেন সাধারণ যাত্রীদের। কিংবা দুর্ভাগ্যবশত কোন যাত্রী কোন কারনে আর্থিক সমস্যা আছে বলে জানিয়ে টাকা দিতে না চাইলে অপমান এবং লাঞ্ছিত করা হচ্ছে জঘন্যভাবে। কখনো কখনো শারীরিকভাবেও আঘাত করা হয়।
তথ্যমতে জানা যায় হিজরা সংগঠনের সদস্যদের সীমানা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। সংগঠনের সদস্যরা দলগত নির্বিশেষে এদের সর্দারের নির্ধারণ করা সীমানায় চাঁদাবাজি করে থাকে। শুধু চাঁদাবাজিই নয়, নানান কুরিচিপূর্ণ কথাবার্তা এবং বিশৃঙ্খলাও করে থাকে। বিশেষ করে রাজধানীর “কুড়িল বিশ্ব রোড” থেকে শুরু করে রাজধানীর “উত্তর বাড্ডা” এবং “কাকলি বনানী” রোড থেকে শুরু করে “সাত রাস্তা” পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট যে দলটি রয়েছে এদের মধ্যে উৎশৃংখলতামূলক আচরণ বেশি লক্ষ করা যায় বলে জানা যায়।
এদের সম্পর্কে নানান ভাবে আইনি এবং সরকারিভাবে পদক্ষেপ নিলে জরিপ মোতাবেক এদের জন্য আলাদা কোটা এবং কর্মক্ষেত্র গড়ে দিয়েছেন সরকার। এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছর হতে ৬৪টি জেলায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রতিবছরই এ কার্যক্রমের আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমাজসেবা অধিদফতরের প্রাথমিক জরিপ মতে বাংলাদেশে হিজড়া জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। ২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারী বাংলাদেশ সরকার হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ‘হিজড়া লিঙ্গ’ হিসেবেও স্বীকৃতি প্রদান করেছে। প্রাথমিকভাবে এ জনগোষ্ঠীদের সরকারিভাবে এত সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হলেও মিলছে না শান্তি। তবুও যেন কমছে না বিশৃঙ্খলতা, কমছেনা চাঁদাবাজি। উল্লেখিত সীমানা মোতাবেক হিজড়া সমষ্টিগনদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু পদক্ষেপ নিলে হয়তো কমে যেতে পারে বিশৃঙ্খলতা।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হিজড়াদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ জনসাধারণ

আপডেট সময় ০৭:৫৭:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪

খন্দকার তাওরিদ প্রান্ত

রাজধানীতে দিনের আলোয় প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি বেড়েই চলেছে হিজরা সমষ্টিদের।

বহুল প্রচলিত হিজড়াদের চাঁদাবাজিতার এই প্রচলন যেন শুরু থেকেই ঘটে আসছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল সহ বিশেষ করে রাজধানীতে এদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার পরিমাণ বেশি হওয়ায় অহরহ রাস্তাঘাটে সিএনজি, অটোরিকশা কিংবা প্রাইভেটকার থামিয়ে আদায় করা হচ্ছে চাঁদা। চলন্ত বাসে উঠে যাত্রী প্রতি উঠানো হচ্ছে টাকা। শুধু টাকা নিয়েই যে থেমে থাকছে এরা এমনটি ও নয় । টাকার পরিমান কম বেশি নিলেও লাঞ্ছিত করছেন সাধারণ যাত্রীদের। কিংবা দুর্ভাগ্যবশত কোন যাত্রী কোন কারনে আর্থিক সমস্যা আছে বলে জানিয়ে টাকা দিতে না চাইলে অপমান এবং লাঞ্ছিত করা হচ্ছে জঘন্যভাবে। কখনো কখনো শারীরিকভাবেও আঘাত করা হয়।
তথ্যমতে জানা যায় হিজরা সংগঠনের সদস্যদের সীমানা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। সংগঠনের সদস্যরা দলগত নির্বিশেষে এদের সর্দারের নির্ধারণ করা সীমানায় চাঁদাবাজি করে থাকে। শুধু চাঁদাবাজিই নয়, নানান কুরিচিপূর্ণ কথাবার্তা এবং বিশৃঙ্খলাও করে থাকে। বিশেষ করে রাজধানীর “কুড়িল বিশ্ব রোড” থেকে শুরু করে রাজধানীর “উত্তর বাড্ডা” এবং “কাকলি বনানী” রোড থেকে শুরু করে “সাত রাস্তা” পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট যে দলটি রয়েছে এদের মধ্যে উৎশৃংখলতামূলক আচরণ বেশি লক্ষ করা যায় বলে জানা যায়।
এদের সম্পর্কে নানান ভাবে আইনি এবং সরকারিভাবে পদক্ষেপ নিলে জরিপ মোতাবেক এদের জন্য আলাদা কোটা এবং কর্মক্ষেত্র গড়ে দিয়েছেন সরকার। এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছর হতে ৬৪টি জেলায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রতিবছরই এ কার্যক্রমের আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমাজসেবা অধিদফতরের প্রাথমিক জরিপ মতে বাংলাদেশে হিজড়া জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। ২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারী বাংলাদেশ সরকার হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ‘হিজড়া লিঙ্গ’ হিসেবেও স্বীকৃতি প্রদান করেছে। প্রাথমিকভাবে এ জনগোষ্ঠীদের সরকারিভাবে এত সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হলেও মিলছে না শান্তি। তবুও যেন কমছে না বিশৃঙ্খলতা, কমছেনা চাঁদাবাজি। উল্লেখিত সীমানা মোতাবেক হিজড়া সমষ্টিগনদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু পদক্ষেপ নিলে হয়তো কমে যেতে পারে বিশৃঙ্খলতা।