সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)
পরকীয়ায় সব হারিয়ে দিশেহারা সুমাইয়া।অবিবাহিত ছেলের প্রেমে পড়ে চাকুরীজীবি স্বামীকে তালাক দিয়ে এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছে সুমাইয়া।
ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনার তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের হরিণখার এলাকায়। ঐ নারী পরকীয়া প্রেমিকের প্রতারিত ভালোবাসায় সরকারি চাকরিজীবী স্বামীকে তালাক দিয়ে নিজের সুখের সংসার ভেঙে পরকীয়া প্রেমিক মাহবুব মুন্সীর প্রতারণার স্বীকার ঐ নারী।
স্বামীকে তালাক দেওয়ার পর ঐ নারী স্বপ্ন দেখছিলেন নিজ গ্রামের মাহবুব মুন্সী নামের এক যুবকের সাথে ঘর বাধার কিন্তু জানতো না যে,প্রেমিক মাহবুব তাকে শুধু ব্যবহার করার জন্যই জড়িয়ে ছিলেন প্রেমের অভিনয়ে।
জানা যায়, সম্প্রতি ওই নারী স্বামীকে তালাক দেওয়ার পর বিদেশে চলে গেলে মাত্র তিন মাসের মধ্যেই প্রেমিক মাহবুব এর আশ্বাসে দেশে ফিরে আসেন।তবে দেশে ফেরার পর মাহবুব তার মতামত পাল্টে ফেলেন, প্রেমিকাকে বিবাহ করা সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেন পরকীয়া প্রেমিক মাহবুব। এতে করে সব হারিয়ে অথৈজলে ভাসছে পরকীয়া প্রেমিকা।
সরল বিস্বাসে প্রতারণার শিকার হওয়া তরণী সুমাইয়ার সাথে কথা বললে জানা যায়,স্বামী থাকাকালীন সময়ে মাহবুব এর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি এ সময় পরকীয়া প্রেমিকে প্রলোভনে স্বামীকে না জানিয়ে একাধিকবার মাহবুবের সাথে শারীরিক সম্পর্কেও লিপ্ত হয়েছেন তিনি। সব শেষে মাহবুব ওই নারীর কাছ থেকে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে এখন বিবাহ করবেন না বলে জানিয়ে দেন। বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হলে ঘা ঢাকা দেয় প্রতারক প্রেমিক মাহবুব। এ নিয়ে চলছে ওই এলাকায় নানা আলোচনা সমালোচনা।
অপরদিকে প্রেমিকের মিথ্যা ভালোবাসায় স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ায় পাশাপাশি পরকীয়া প্রেমিককে বিশ্বাস করে প্রতারিত হওয়া ওই নারী কোন উপায় না পেয়ে মাহবুরের বিরুদ্ধে তালতলী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
এ ঘটনার কোনো সত্যতা নেই বলেও দাবি করেন ওই নারীর আপন মামা মোঃ সুলতান বলেন, ওই ছেলেকে ষড়যন্ত্র করেই এসব করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মাহবুব বলেন,শত্রুতার জন্য তার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা কথা বলছেন ওই নারী।তবে ভিডিও কলে কথা বলার কথা স্বীকার করে বলেন,নিজ এলাকার লোক হিসেবে কথা হয়েছে।
তালতলী থানার কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন,ওই নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে তদন্ত চলতেছে,আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলতেছে।