নিয়তির ইচ্ছে
প্রিয়াংকা নিয়োগী
কোচবিহার, ভারত
ড্রিমির ছোটোর থেকেই প্রচুর স্বপ্ন ছিলো নিজেকে নিয়ে।তাকে নিয়ে কেউ না ভাবলেও সে নিজেকে নিয়ে যথেষ্ট ভাবত।সব সুন্দর সুন্দর ভাবনার মধ্যে একটি বিশেষ ভাবনা ছিলো তা হোলো একটি তেমন ছেলেকে জীবন সঙ্গী হিসেবে পাওয়া।তাই ছোটোর থেকেই বিভিন্ন এক্টিভিটির মধ্যে গেলে সেখান থেকে জিতে আসত।জিততে জিততেই বড়ো হওয়া।তাই আত্ম বিশ্বাস ও আত্ম শক্তিও প্রচুর।ড্রিমির বড়ো এক দাদা ও দিদি ছিলো।তারা উপযুক্ত সময়ে বিয়ে করলেও তাদের ছোটো বোন ড্রিমি যে ছেলে দেখে তার পছন্দ হয়না।এদিকে সময় বেয়ে নিজের জায়গা তৈরী করেছে হরপ্রসাদ বাবুর ছোটো মেয়ে ড্রিমি।তাই ড্রিমি বিশ্বাস করে সে মনমতো জীবন সাথী পাবে।যে কোনো ছেলেই তাকে পছন্দ করে।তাই সে ত্রিশ বছরের জীবনে এটাই মনে করেছিলো যে সে যাকে পছন্দ করবে,তাকেই পেয়ে যাবে। কিন্তু একটি প্রবাদ আছে-
জন্ম,মৃত্যু ও বিয়ে ,
তিন বিধাতা নিয়ে।
তাই নিয়তির ইচ্ছের কাছে পরাজিত হতে হোলো।
ইউটিউবে একটি গান দেখে প্রেমে পড়ে যায় সেই গায়কের।আসলে ড্রিমি এতদিন যে চেহারা ও ব্যক্তিত্ব খুঁজছিলো তা ঐ গায়কের মধ্যে দেখতে পান।আর সাথে সাথেই সেই গায়ককে মনে ধরে যায়।যেহেতু ড্রিমির প্রচুর টাকা তাই সে কোনো ভয় পায়নি।
কিন্তু মজার ব্যাপার হোলো গুগলে ঐ গায়কের স্ট্যাটাস চেক করতে গিয়ে দেখে দুবছর আগে তার বিয়ে হয়ে গেছে।তাই ড্রিমির আর করার কিছু থাকেনা।চেষ্টা করার জায়গাটাও নেই।
তখন ড্রিমি মেনেই নেয় নিয়তির ইচ্ছে বা বিধাতার নির্দেশনা বলে কিছু থাকে।আর আমরা যা কিছু পাই তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী পাই।