
স্টাফ রিপোর্টার
আন্দোলনের সময় মহাখালী এলাকায় শাহজাহান হত্যা মামলায় কুমিল্লা ৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাসিমুল আলম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে ঢাকার মহানগর হাকিম ছানাউল্ল্যাহ এ আদেশ দেন।
আদালতের বানানী থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মোক্তার বলেন, নাসিমুল আলমকে আদালতে হাজির করে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো ও কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার এসআই ইয়াছির আরাফাত।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে আদালত আদেশ দেয়।
এই কর্মকর্তা বলেন, কারাগারে আটক রাখার আবেদনে বলা হয়েছে- নাসিমুল আলম চৌধুরী বিগত সরকারের বিভিন্ন ‘অবৈধ কাজে সহায়তাকারী’, ব্যাপক ‘অনিয়ম’, ‘দুর্নীতি’ ও আর্থিক ‘অনিয়মের’ সঙ্গে জড়িত। দেশকে অস্থিতিশীল করার ‘ষড়যন্ত্র’ ও বিগত সরকারের ‘সন্ত্রাসীদের অর্থের যোগান’ দিয়ে সক্রিয় করার ‘পরিকল্পনা’ করছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে পালিয়ে যেতে পারেন।
সোমবার বিকেল ৪টার দিকে বনানীর হেলমেট টাওয়ার থেকে সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) নাসিমুল আলম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শাহজাহান হত্যা মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই ঢাকার একটি কারখানার কর্মী ২২ বছর বয়সী শাহজাহান বনানী থানার মহাখালী এলাকায় ফ্লাইওভারের নিচে শান্তিপূর্ণ মিছিলে অংশ নেন। এসময় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশিয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মিছিলে হামলা করে। এসময় শাহজাহান বুকে ও পেটে দুইটি গুলিবিদ্ধ হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারদিন পর তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় গত ১৮ ডিসেম্বর শাহজাহানের মা সাজেদা বনানী থানায় ৯৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। আন্দোলনের সময় হত্যা, গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের মন্ত্রী-এমপি, সাবেক আইজিপি, পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কয়েক’শ মামলা হয়েছে। গণহত্যার অভিযোগেও বিচারের মুখোমুখি তাদের অনেকে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর নাসিমুল আলমের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরুর তথ্য দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।